স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় করতোয়া নদী পুনঃখনন ও ডানতীরে স্লোপ প্রটেকশন কাজ শীর্ষক প্রকল্পের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) বগুড়া জেলা কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট বগুড়া গড়ার অংশ হিসেবেই করতোয়া নদী খননসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এছাড়াও করতোয়ার পশ্চিম পাশ দিয়ে একটি রাস্তা নির্মান করে শহরের যানজট নিরসনে চেষ্টা চলছে। নদীর নাবত্যসহ সৌন্দর্য্য বর্ধনে যেসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে স্মার্ট বগুড়ায় পরিনত হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) বগুড়া জেলা কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মকবুল হোসেন,সিভিল সার্জন ডাঃশফিউল আজম,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিলুফা ইয়াসমিন,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভীন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
এসময় ঠিাকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন এন্ড কোং এর প্রতিনিধি হুমায়ন কবিরসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, করতোয়া নদীর নাব্যতা ফেরাতে প্রায় ৪৭ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৭ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গবার ৩য় বারের মত করতোয়া নদী খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ১ম ধাপে গত বুধবার (১৩ মার্চ) বগুড়ার শাজাহানপুর অংশে খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ)২য় ধাপে মাটিডালী করতোয়া নদী খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। সৌন্দর্য্য বর্ধনে গাছ লাগানো হবে।
এছাড়াও করতোয়া নদী ৩য় বারের পুন:খনন কাজের উদ্বোধন পর্বে উপস্থাপনা করেন ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা ও গাজী মূয়ীদুর রহমান করতোয়া নদী সৌন্দর্য্য বর্ধণ সম্পর্কে ধারণ তুলে ধরেন। গত ২০২৩ সালের ১ লা আগস্ট এ করতোয়া রক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছিল।অপর দিকে করতোয়া নদী পুন:খননের যে অতিরিক্ত মাটি থাকবে তা নিলাম কমিটির মাধ্যমে নিলাম করা হবে।