হালকা সর্দি-কাশিতে নিরাময় পেতে যষ্টিমধুর চা

বগুড়া নিউজ ২৪: বর্তমান ঋতু বদলের এই সময়ে প্রায় সবারই কমন যে সমস্যাটা দেখা যায় তা হলো হালকা সর্দি-কাশি। হালকা সর্দি-কাশিতে যষ্টিমধু অত্যন্ত উপকারী। এই শিকড়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল গুণ প্রদাহ নাশ করতে, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ সমস্যা দূরে রাখে। বুকে জমা কফ সারাতে অত্যন্ত কার্যকর এই যষ্টিমধু।

শুধু খাওয়াই নয়, যষ্টিমধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের জন্যেও উপকারী। মধু, দই এবং যষ্টিমধুর গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে মেখে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল। পানিতে যষ্টিমধু দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে, সেই পানির ভাপ নাক, মুখ দিয়ে প্রবেশ করাতে পারলে শ্বাসযন্ত্রের অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সর্দি-কাশির সমস্যায় উপকার পেতে যষ্টিমধুর শিকড় চায়ের সঙ্গে পান করতে পারেন। কেননা আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বাদল বলেন, যষ্টিমধু একটা গাছের শিকড়, যা কফের সমস্যা দূর করে।

আজ আমরা আপনাদের জানাবো যষ্টিমধুর চা তৈরির উপায়:

উপকরণ

পরিষ্কার যষ্টিমধুর শিকড়
চা পাতা
মধু

প্রস্তুত প্রণালি

১. প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানি গরম করে ফুটিয়ে নিন। এবার এতে পরিমাণমতো চা পাতা এবং একটু পরিষ্কার যষ্টিমধুর শিকড় দিয়ে গরম করে নিন।

২. এবার তৈরিকৃত এই গরম পানি কাপে ঢেলে এতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করে নিন।

পেটরোগা বাঙালি সারা বছরই হজমের সমস্যায় ভোগে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই অ্যান্টাসিডের শিশির দিকে হাত না বাড়িয়ে খেতে পারেন যষ্টিমধু দিয়ে তৈরি চা। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা কিংবা বুকজ্বালার মতো কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই বিশেষ পানীয়টি।

যষ্টিমধু অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ সারাতে এবং ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু ধ্বংস করে। এছাড়া যষ্টিমধুতে রয়েছে গ্লাইসিরজ়িন, যা হাঁপানি, চোখ ও পেপটিক আলসারের সমস্যায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা ব্যবহার করেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ