হাড়কে মজবুত করতে একাই একশো ধনে পাতা

বগুড়া নিউজ ২৪: বর্তমানে বয়স ত্রিশ হলেই অনেককে হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। যদিও আগে অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়জনিত এই সমস্যাকে বার্ধক্যের রোগ বলে মনে করতেন বিশেষজ্ঞরা, যা এখন আর বার্ধক্যের রোগ নেই। আর তাই বিশেষজ্ঞরা ৮ থেকে ৮০ বছরের সকলকেই হাড়ের জোর বাড়ানোর পরামর্শ দেন। আর ভালো খবর হলো, এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে অতি পরিচিত ধনেপাতা। তাই আর সময় নষ্ট না করে হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে ধনেপাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

১. ইমিউনিটি : আমাদের আশপাশে উপস্থিত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচতে আপনাকে ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। তা না হলে যে বারবার জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় পরতে হবে। এবার আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, ঠিক কোন খাবার খেলে বাড়বে ইমিউনিটি? তার উত্তর, আমাদের অতি পরিচিত ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চাঙ্গা করার কাজে দারুণ কার্যকরি। তাই সুস্থ-সবল জীবন চাইলে ঝটপট এই পাতার শরণাপন্ন হন।

২. খনিজের ভাণ্ডার : এই পাতায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাসের ভাণ্ডার। আর এই সমস্ত খনিজ হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে বেশ কার্যকর। তাই তো সব বয়সীদেরই নিয়মিত ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত, যারা ইতিমধ্যেই হাড়ের ক্ষয়জনিত অসুখের পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের পাতে তো এই পাতা থাকা জরুরি।

৩. ব্লাড সুগার : যাদের হাই ব্লাড সুগারের মতো সমস্যা রয়েছে, তাদেরকে এই অসুখ বশে রাখতেই হবে। আর সেই কাজেও আপনার হাতিয়ার হতে পারে ধনেপাতা। কারণ এই পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ায়। আর শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেলে যে অনায়াসে ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই ডায়াবেটিকদের ডায়েটে এই পাতা থাকা প্রয়োজন।

৪. কোলেস্টেরল : রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হার্ট ডিজিজ, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ থেকে শুরু করে একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে ধনেপাতা। তাই হাইপারলিপিডিমিয়ায় ভুক্তভোগীদের খাবার তালিকায় ধনেপাতা থাকতেই হবে।

৫. কমবে জয়েন্টের ব্যথা : ধনেপাতায় রয়েছে কিছু অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদানের ভাণ্ডার যা কি না ব্যথা প্রশমিত করার কাজ করে। তাই অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা গাউট আর্থ্রাইটিসে ভুক্তভোগীরা যত দ্রুত সম্ভব এই পাতার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে। তবে শুধু হাড়ের জোর বাড়ানো নয়, এর পাশাপাশি আরও একাধিক উপকার করে এই পাতা।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ