কোন যানজট থাকবেনা ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির-ডিসি বগুড়া

স্টাফ রিপোর্টার:ঈদে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি ও গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায় মহাসড়কের যানযট। তবে এবার উত্তরাঞ্চলের মহাসড়কে পুরোদমে চলছে চার লেন প্রকল্পের কাজ। আসন্ন ঈদুল ফিতরে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামাল দিতে ইতিমধ্যে জেলায় ১০টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এসকল স্থানে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্য ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন বলে জানিয়েছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।গতকাল রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে গড়িদহ ইউনিয়নের দশমাইল হতে সিমাবাড়ী ইউনিয়নের চান্দাইকোনা পর্যন্ত হাইওয়ে মহাসড়ক পরিদর্শন করে ধুনটমোড় এলাকায় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। জানা যায়, এবার অনেকটা স্বস্তিতেই মানুষ ঘরে ফিরতে পারে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থান নির্ধারণ করেছেন। স্থানগুলো হলো- মির্জাপুর ওভারপাস, ছোনকা বাজার, ঘোগা বটতলা, ঘোগা ব্রিজ, ফুড ভিলেজের সামনে, পেন্টাগন হোটেলের সামনে, বনানী লিচুতলা, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে মাটিডালী বিমান মোড় ও মোকামতলা। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছেন ঘোগা ব্রিজ ও ছোনকা বাজার। ঝুঁকিপূণ স্থানে রাত-দিন অতিরিক্ত পুলিশ থাকবে। যাতায়াতের স্বস্তি ফেরাতে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছেন বলেন, ‘বিগত দিনের চেয়ে এ বছর মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো। বগুড়া পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষের দিকে। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। ঈদের আগে মেরামত করা হলে যানজট হবে না। শ্যামলী পরিবহনের চালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, শেরপুর উপজেলার বিশেষ করে ঘোগা ব্রিজ ও ছোনকা বাজার মির্জাপুর এলাকা পর্যন্ত ঈদযাত্রায় সমস্যা হতে পারে। মহাসড়কের এসকলস্থানে পুলিশ মোতায়েন থাকলে যানজট থাকবে না। বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “এ বছর মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সকল তথ্য সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো আগামী ৪ মার্চের মধ্যে সংস্কার করে দেওয়ার কথা দিয়েছেন। ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে। একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট) সার্কেল সজীব শাহরীন, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জামাল সিরাজী, পৌর মেয়র জানে আলম খোকা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম, শেরপুর থানা অফিসার রেজাউল করিম, শেরপুর ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আসাদুজ্জামান, শ্রমিক নেতা সেলিম রেজা, কারিমুল ইসলাম প্রমুখ।

অপর দিকে ফোরলেন চালু হলে সিলিমপুর,ইসলামপুর, বেলাইল,পাতিতাপাড়া,কহিতকুল,নন্দকুল, এলাকার জনগনের রাস্তা পারাপারের ভোগান্তি হবে।এমতবস্থায় এখানে একটা ইউটার্ণ এর হলে এলাবাসীর চলাচলের পথ সুগম হবে।ফোরলেন রাস্তা চালু হলে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোন রোগি কে নিয়ে গেলে প্রায় ২ কিলোমিটার ঘুরে আসবে হবে,এছাড়াও সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য খুবই কষ্ট কর হয়ে পরবে, স্কুল,মাদ্রাসা,সহ বিভিন্ন প্রতিষ্টান রয়েছে ঐ এলাকায়।এবিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার ফিরোজা পারভীন।ডিসি মহোদয় একাবাসী কে আসস্ত করেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক,জনগনের সাথে কথা বলেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা কবরেন বলে জানিয়েছেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ