টোকাই থেকে কোটিপতি! থানায় হামলাকারী কে এই নুরুজ্জামান

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ  সম্প্রতি বগুড়ার শাজাহানপুরে দু’টি বার্মিজ চাকু সহ আটক মাদকসেবী এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে দলবল নিয়ে থানায় হামলা চালায় উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান। হামলায় ওসিসহ ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে নুরুজ্জামান সহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং মাদক ও ম্যাগজিন ভর্তি ১৫ রাউন্ড গুলি সহ ২টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় নুরুজ্জামান ও বার্মিজ চাকুসহ আটক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মিঠুন মিয়াকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আদালতে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের রিমান্ড আবেদন করা হলে নুরুজ্জামানকে ৬ দিন এবং বাকি ৮জনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্চিতা ইসলাম।

কে এই নুরুজ্জামান?
শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়াপাড়া গ্রামের খাজা মিয়া নামের এক পাহারাদারের ১ম পক্ষের একমাত্র সন্তান নুরুজ্জামান (৪০)। অন্যের জায়গা-জমি দেখা-শোনা আর দিনমজুরী করে বাবার আয়-রোজগারে বেড়ে উঠা তার। লেখা-পড়ায় প্রাইমারীর গন্ডি পেরোতে পারেনি সে। ২০ বছর আগে মাঝিড়া এলাকায় মুন্না-পান্না বাহিনী নামে একটি সন্ত্রাসীদল ছিল। ওই বাহিনীর প্রধান আপন দুইভাই মুন্না-পান্নার ফুট-ফরমাশ করতো এই নুরুজ্জামান। চা, সিগারেট থেকে শুরু করে যখন যা অর্ডার হতো একজন অনুগত ভৃর্তের মত সাথে সাথে তা পালন করতো নুরুজ্জামান। এক সময় মোস্তা হুজুর নামে অপর এক প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে খুন হয় পান্না। পান্নার মৃত্যুর পর মুন্না-পান্না বাহিনীর বিলুপ্তি ঘটলে নিজেকে মুন্না-পান্নার মতো ভাবতে থাকে নুরুজ্জামান। একটি বাহিনী তৈরী করে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে নিজেকে ডন ভাবতে শুরু করে সে। প্রথমে হাতে গোনা দুই চারজনকে সাথে নিয়ে এলাকার সাধারন অসহায় মানুষের উপর অযথা চড় থাপ্পড় মারপিট করে এলাকায় নিজেকে আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা চালায়। এভাবে কিছুদিনের মধ্যেই দলের সদস্যদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি দলকে শক্তিশালী করতে রাজনৈতিক দলের আশ্রয় খোঁজে নুরুজ্জামান। সেসময় বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকায় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সংস্পর্শে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে দলের সদস্যদের সংখ্যা বেড়ে গেলে মাদক, ছিনতাই, মারপিটসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড শুরু করে নুরুজ্জামান। মাদক ব্যবসার ভাগ বাটোয়ারা কে কেন্দ্র করে প্রথমে জুয়েল নামের এক যুবকের পা থেতলে দেয় সে এবং একই কারনে খুন হয় তেলী নামে এক ব্যক্তি। তেলী হত্যা মামলায় প্রধান আসামী হয় নুরুজ্জামান। শুরু হয় সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েমের পথ চলা। এর পর এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করতে রেজাউল নামে অপর এক যুবকের ডান পা রাম দা দিয়ে কুপিয়ে শরির থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পাকাপোক্ত হয় সন্ত্রাসী রাজত্ব। খেতাব অর্জন করে ‘পা কাটা নুরু’। গড়ে তোলে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। এরই মধ্যে সরকার পরিবর্তন হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সরকার দলীয় রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়া পেতে তৎকালীন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের য্গ্মু-সাধারন সম্পাদক একেএম আছাদুর রহমান দুলুর ধরণা ধরে নুরুজ্জামান। বিশাল এক বাহিনী হাতে পেয়ে সুযোগ হারাতে চাননি আছাদুর রহমান দুলু। বিনা দ্বিধায় নুরুজ্জামানকে সভাপতি করে মাঝিড়া বন্দর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নামে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। শুরু হয় নুরুর রাজনৈতিক পথ চলা। সরকার দলীয় রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠে নুরুজ্জামান। শুরু হয় একের পর এক জমি দখল, চাঁদাবাজি, যখন তখন যাকে তাকে মারপিট, টর্চার শেল বানিয়ে বিচার-শালিশের নামে ধরে এনে হুমকি-ধামকি, মারপিট করে অর্থ আদায়। প্রতিষ্ঠিত হয় ‘নুরু বাহিনী’ নামে একটি স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। হয়ে যান এলাকার ‘বড় ভাই’। জিম্মী হয়ে পড়ে প্রসাশন, সাংবাদিক সমাজ সহ গোটা উপজেলাবাসি। এমন কি উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন বাবলুকে পর্যন্ত জনসম্মুখে লাঞ্চিত করে নুরুজ্জামান। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান ২০১৫ সালে উপজেলা সদর মাঝিড়া বন্দরে কোটি টাকার সরকারী খাস সম্পত্তি জবরদখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন সরকারী সম্পত্তিতে লাল পতাকার খুঁটি গেড়ে দেন। এ সময় সরকারের পক্ষে কথা বলতে গেলে পুলিশ প্রশাসনের সামনে নুরু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ডাঃ আব্দুস সোবহান নামে এক বিএনপি নেতাকে বেদম মারপিট করে তুলে নিয়ে যায়। লাল পতাকার খুঁটি গাড়ার একদিন পরেই রহস্যজনক কারনে আবার শুরু হয় বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ। কিন্তু ভয়ে কেউ কোন কথা বলতে সাহস পায়নি। এতেই তুষ্ট হয়নি নুরুজ্জামান। মাঝিড়া বাজারের খাস সম্পত্তি দখলে নিতে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করে মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জোব্বার নামের এক মাছ ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। অভিযোগ দেয়ার অপরাধে নুরুজ্জামান বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জোব্বারকে মাঝিড়া বাজার থেকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে। বাবাকে মারপিট করার প্রতিবাদ করে উপজেলা যুবলীগের নির্বাহী সদস্য সাজেদুর রহমান সাজু (৪০)। এলাকার বড়ভাই নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে কৌশলে যুবলীগ নেতা সাজুকে হত্যার উদ্যেশ্যে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে রাম দা ও হাম্বল দিয়ে কুপিয়ে থেতলে দু’পা পঙ্গু করে দেয় নুরুজ্জামান বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে নুরুজ্জামান তার বাহিনীর সহযোগীতায় একের পর এক জমি দখল, বালু মাটি সিন্ডিকেট, দাদন ব্যবসা, মাদক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রভাব খাটিয়ে একক ঠিকাদারী ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলে বিশাল সাম্রাজ্য, হয়ে যান শত শত কোটি টাকার মালিক। বর্তমানে মাঝিড়ায় রয়েছে তার আলিশান বাড়ি। যেখানে রয়েছে টর্চারশেল। বগুড়া শহরে ডাইম হাউজিং এ স্ত্রীর নামে রয়েছে ফ্লাট। মাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মহাসড়কের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছে। উপজেলার আনাচে কানাচে গড়ে তুলেছে ৫৬টি ক্লাব। যার সদস্য কম করে হলেও ৩ সহস্রাধিক। আর এই ক্লাব গুলো হলো এক একটি কিশোর গ্যাংয়ের উৎপত্তিস্থল। যার বেশির ভাগ সদস্য স্কুল কলেজের উঠতি বয়সের কিশোর। যেখান থেকে চলে মাদক ব্যবসা, দাদন ব্যবসা, জমি দখল, বালু মাটি সিন্ডিকেটসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। বেশ কয়েক বছর আগে নুরুজ্জামান তার রাজনৈতিক গুরু আছাদুর রহমান দুলুর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় খোলস পাল্টিয়ে আছাদুর রহমান দুলুর আরেক পল্টিবাজ শিষ্য বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহিনের সাথে যোগ দেন। এরপর সাজেদুর রহমান শাহিনের বদৌলতে পদপদবী পাল্টিয়ে বর্তমানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেয় নুরুজ্জামান। যেই কমিটিতে বেশির ভাগ স্থান দেয়া হয়েছে যুবদল, ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদেরকে। এরই মধ্যে নুরুজ্জামান আওয়ামী লীগের বড় বড় কেন্দ্রিয় নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। এমন কি সাবেক স্পিকার প্রয়াত ফজলে রাব্বীকে পর্যন্ত তার মাঝিড়াস্থ বাসায় বেশ কয়েক বার আসতে দেখা গেছে। বড় বড় কেন্দ্রিয় নেতাদের সাথে সখ্যতার খাতিরে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লবিং করে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন নুরুজ্জামান। নির্বাচনে বাহিনীর সদস্যদের লেলিয়ে দিয়ে ভোটার দের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট কারচুপির মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় সে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠে যে, উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ জনপ্রতিনিধি, ঠিকাদার সকলের সামনে হাট-বাজার ইজারা টেন্ডারের সময় প্রতিপক্ষের দরপত্র সরিয়ে নিয়ে বাহিরে পাচার করে দেয়। এঘটনায় মামলা দায়েরের পর চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার হন নুরুজ্জামান। পরবর্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পুনরায় চেয়ারম্যানের পদ ফিরে পান তিনি। এই দুঃসাহসিক অপরাধ করার পরও কোন কিছু না হওয়ায় আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে নুরুজ্জামান। বেশ কিছুদিন আগে উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে দলবল নিয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সামনে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক বাদশা আলমগীরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি সহ মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। এছাড়া কি পরিমান দুঃসাহস থাকলে একজন মাদকসেবী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা ধারালো অস্ত্র সহ আটকের পর তাকে ছিনিয়ে নিতে দলবল সহ থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদেরকে মারপিট করতে পারে। এই সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান এতোটাই ক্ষমতাধর যে উপজেলার কাউকে সে তোয়াক্কা করে না। না উপজেলা প্রশাসন, না পুলিশ প্রশাসন, না আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, না সাংবাদিক কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। তার জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শত শত মানুষ। নুরুজ্জামানের সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে গোটা উপজেলাবাসি জিম্মী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রায় ১ ডজন মামলা রয়েছে। এই সমস্ত দূর্ধর্ষ অপরাধ করা সত্তেও কিভাবে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এনিয়ে আতংকিত উপজেলাবাসি। নুরুজ্জামান গ্রেপ্তারের পর তার বাহিনীর হাল ধরেছেন তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্য সুমাইয়া আক্তার লিজা। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে থেকে কেন্দ্রিয় নেতাদের কাছে তদবির করতে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে লোক মুখে শোনা যাচ্ছে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহিন জানান, তিনি কোন সন্ত্রাসী লালন করেন না। মাঝিড়া বন্দর কমিটির সভাপতি হওয়ার মধ্য দিয়ে নুরুজ্জামানের রাজনৈতিক হাতে খড়ি। পরবর্তিতে দলকে শক্তিশালী করতে সম্মেলনের মাধ্যমে নুরুজ্জামানকে উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নয় স্বচ্ছ কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই দলকে শক্তিশালী করতে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয় ইউনিয়ন নির্বাচনেও সহযোগীতা করে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। আশা ছিল সুস্থ্য ও স্বচ্ছ কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে সে দল ও মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটাবে। কারো ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় দল নেবে না। তাই তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে নুরুজ্জামানের রাজনৈতিক গুরু জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক একেএম আছাদুর রহমান দুলুর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় নেই। সে যেই হোক। সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের মানুষকে সচেতন হতে হবে। এখনই সময় এসেছে সন্ত্রাসীদের রুখে দেয়ার। যে যেখানে দেখবেন সন্ত্রাসীরা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে মাথা চাড়া দিচ্ছে তখন সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান। সাথে সাথে পুলিশকে জানান। পুলিশ আপনাকে শতভাগ নিরাপত্তা দেবে সহযোগীতা করবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০