স্টাফ রিপোর্টার : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার প্রথম দফায় তিন উপজেলার মধ্যে সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় মামা ভাগ্নে বিজয়ী হয়েছেন। এই দুই বিজয়ী প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই মোঃ মিনহাদুজ্জামান লীটন ও ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল।
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মিনহাদুজ্জামান লীটন দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলার ৫৩টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তবে বৃষ্টি ও ধান কাটা মারাই কাজে মানুষ ব্যস্ত থাকায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। উপস্থিত ভোটারদের মধ্যে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি বেশি চোখে পড়েছে। মিনহাদুজ্জামান লীটন আনারস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ জাকির হোসেন মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৪৫টি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ ওয়াছিয়া বেগম রুনা বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি সেলাই মেশিন প্রতীকে ১৪ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাষক ইশারাত আক্তার রিমু কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৪০ ভোট। এছাড়াও অপরপ্রার্থী সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌসি রুম্পা ফুটবল প্রতীকে ২ হাজার ১২৭ ভোট পেয়েছেন এবং কুহেলী চক্রবর্তী হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৯০ ভোট। সোনাতলা উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৬১ জন। মোট বৈধ ভোটার ২৭ হাজার ২৬৩।
ভোটের শতকরা হার ছিল ১৭.০৮। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফিদা হাসান খান টিটো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, সারিয়াকান্দিতে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মেদ সাখাওয়াত হোসেন সজল। সজল বগুড়া-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের একমাত্র ছেলে। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টু । তিনি কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বতা করেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লিখন মিয়া। লিখন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইউনুস আলী (তালা) । মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কুলসুম পারভীন শাপলা।
তিনি এ উপজেলায় প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন শাহিনূর বেগম। ১২ টি ইউনিয়ন এবং ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৯৮ হাজার জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৬ হাজার ১৪২ জন এবং নারী ভোটার ৯৮ হাজার ১৫৬ জন। প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ২৬। উল্লেখ্য উপজেলার ৭১ টি কেন্দ্রে সজল পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২৪৮ ভোট আর রেজাউল করিম মন্টু পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫৩ ভোট।