দস্যুতার সাথে জড়িত ০৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

ষ্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া সদর থানা পুলিশের অভিযানে দস্যুতার সাথে জড়িত ০৩ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আবদুল লতিফ টুকুর পুত্র মেশকাত আহমেদ তন্ময় (১৭), সদরের কাটনারপাড়া এলাকার আবদুর রউফ এর পুত্র আল আব তাহি সাফি (১৬) ও বাদুরতলা তিব্বতের মোড় এলাকার মৃত ফিরোজের পুত্র ফারদিন আহম্মেদ মানসিফ (২০)। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ (পিপিএম)।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ (পিপিএম) জানান, মাহমুদুল হাসান নামে এক ব্যক্তি সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ০৪ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন যে তিনি টিএমএসএস পুরান বগুড়া শাখার ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। মাহমুদুল হাসান ও তার সহকর্মী টিএমএসএস পুরান বগুড়া শাখা মাঠ কর্মী পাপিয়া শারমিন গত (২০ মে) দুপুর অনুমানিক পৌনে তিনটার সময় বিভিন্ন ঋণ গ্রহীতাদের নিকট হইতে কিস্তির টাকা উত্তোলন করিয়া সরকারী আজিজুল হক কলেজের ভিতরে ক্যান্টিনের সামনে দিয়ে পুরান বগুড়া যাওয়ার পথে ভিকটিম মাহমুদুল হাসান মোটর সাইকেল থামিয়ে তার স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোন কথা বলার সময় অজ্ঞাতনামা ০৪ জন ব্যক্তি মাহমুদুল হাসানের কাছে আসে, এবং তাদের কাছে রাখা ধারালো চাকু নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে কলেজ ক্যান্টিনের পিছনে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে জখম করে। ওই সময় অজ্ঞাতনামা একজন আসামি ধারালো ছুরি দিয়া বাদীকে হত্যার হুমকী প্রদান করে ভিকটিমের পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং বাদীর সাথে থাকা তাহার সহকর্মী পাপিয়া শারমিন এর সহিত কয়েকটি ছবি তুলিয়া তাহা ফেসবুকে ভাইরাল করিয়া দেওয়ার হুমকী দিয়া তাহার নিকট হইতে টাকা দাবী করে। দাবীর টাকা দিতে না চাইলে অজ্ঞাতনামা আসামিরা ভিকটিম মাহমুদুল হাসানের প্যান্টের পকেটের মধ্যে মানিব্যাগে থাকা নগদ ২৫০০০ টাকা মাহমুদুল হাসান এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে (২১ মে) বগুড়া সদর থানায় পেনাল কোড ৩৯৪ ধারায় মামলা হয় যাহার নং-৭১।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, মাহমুদুল হোসেনের মামলার সূত্র ধরে বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম, পিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সার্বিক দিক নির্দেশনায় বগুড়া সদর থানার একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে (২১ মে) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ও আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইবে। এ ছাড়া পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১