ষ্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্মুক্ত মঞ্চে যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫তম জন্মদিন পালন করে। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ কাজী নাজনীন জাহান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যিক হিসেবে তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন, আর এ জন্যই রবীন্দ্রনাথকে ‘বিশ্বকবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাধারে প্রেমিক ও বিদ্রোহী। উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীত আর দর্শনেও নজরুলের অনবদ্য উপস্থিতি বর্ণাঢ্য করেছে বাংলা সাহিত্যকে। কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, সম্পাদক পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অভিমানী এই মানুষ হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন নিপীড়িত-অসহায়ের আর্তি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কবিতা কোটি তরুণের রক্তে জ্বালায় স্ফুলিঙ্গ।
বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ মাইকেল আশের বেসরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক পারভীন আকতার। বিশ্ব কবি ও জাতীয় কবির জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক নাচ, গান ও কবিতা আবৃতিতে অংশ নেন। মনোমুগ্ধকর এ আয়োজন সবাইকে তাগ লাগিয়ে দেয়।