বগুড়া নিউজ ঃ বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা।সারা বিশ্বেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। বিশ্বে এর কারণে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। এ রোগের সাথে জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়।এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে।নিয়মানুবর্তী জীবনযাপনই শারীরিক সুস্থতার মূলমন্ত্র।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে কিছু টিপস দেয়া হলঃ
১। আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা তা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা।
২। ডায়াবেটিস থাকলে তার ধরণ সম্পর্কে জেনে নিন জেমন-আপনি ডায়াবেটিস টাইপ-১ কিংবা টাইপ-২ এ আক্রান্ত কিনা।
৩। ডায়াবেটিস হলে খাদ্যের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাদ্যে নিয়ন্ত্রন আনা সবচেয়ে জরুরি বিষয়। শরীরে খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা ডায়াবেটিস হওয়ার আগে ও পরে একই রকম থাকে। তাই, খাদ্যের নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভাল রাখা যায়।
৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পেঁপে মানবদেহের প্রতিক্রিয়াশীল প্রোটিন ‘সি’ ও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ইতিবাচক সাহায্য করে।
৫। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক সেরা ব্যায়ামগুলোর একটি হাঁটা। প্রতিদিন সকালে বা বিকালে অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করলেই ডায়াবেটিসেরও ঝুঁকিও কমে আসবে।
৬। ওটমিল, বার্লি, ব্রাউন রাইস, ভুট্টা, বাজরা ইত্যাদি পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্যে আছে আঁশ, যা রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে সহায়ক। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে।
৭। দেহের ওজন স্বাস্থ্যকর মাত্রায় নিয়ন্ত্রিত রাখার মধ্য দিয়ে শুধু ডায়াবেটিসই নয়; বরং আরও নানা ধরনের রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকা যায়। স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭০ শতাংশ কমে আসে।
৮। মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। প্রয়োজনে ইয়োগা, মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন।
৯। নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে, যা রক্তের শর্করা কমাতে ভূমিকা রাখে।
১০। বছরে অন্তত একবার প্রয়োজনীয় সব ধরনের চেকআপ করান।