বগুড়া নিউজ ২৪ঃ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর পালন করা হয় দিনটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা এদিন উৎসবে মেতে ওঠেন। একে অপরকে উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তবে ব্রুনাই, সৌদি আরব, সোমালিয়া ও উত্তর কোরিয়ায় এ দিনটি পালনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশগুলিতে কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্রিসমাস উদযাপন করলে তার বিরুদ্ধে কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রয়েছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম টেলিগ্রাফের এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে রক্ষণশীল মুসলিম প্রধান দেশ ব্রুনাইয়ে বড়দিন পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। দেশটির সুলতান হাসানাল বোলকিয়াহ এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।বিবৃতিতে বলা হয়, কেউ এদিন ক্রিসমাসের কোনো ধরনের সাজসজ্জা, বিশেষ করে সান্তা ক্লজের টুপি অথবা ক্রিসমাসের শুভেচ্ছাসহ ব্যানার প্রদর্শন করতে পারবে না। অবৈধভাবে কেউ বড়দিন উদযাপন করলে তাকে ২০ হাজার ডলার জরিমানা অথবা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডই ভোগ করতে হবে।
বড় আকারে এবং উন্মুক্ত পরিসরে এ ধরনের উৎসবে দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠী বিপথে যেতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ অন্য কেউ পালন করতে চাইলে তা ব্যক্তিগত পরিসরের মধ্যে করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বহুকাল ধরেই ইসলাম ছাড়া আর অন্য কোনো ধর্মীয় উৎসব পালন করতে দেয়া হয় না। ২০১৩ সালে দেশটিতে বড়দিন উদযাপন করার অপরাধে প্রায় ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০১৭ সালে হ্যালোউইন পার্টি করার অপরাধে ১৭ জন ফিলিপাইন নাগরিককে গ্রেপ্তার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
মুসলিম প্রধান দেশ সোমালিয়াতেও ধর্মীয় বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় বড়দিন উদযাপন করতে দেয়া হয় না। এছাড়া উত্তর কোরিয়াতে এদিন কোনো ছুটি দেয়া হয় না। দেশটিতে শুধুমাত্র তাদের রাষ্ট্রনায়কের জন্মদিনেই ছুটি দেয়া হয় এবং বড় পরিসরে উৎসব পালন করা হয়।