বগুড়া নিউজ ২৪ঃ বিশ্বের সেরা আম্পায়ারদের একজন পাকিস্তানের আলিম দার। বেশ কয়েকবার আইসিসি থেকে পুরস্কৃতও হয়েছেন সেরা আম্পায়ারিংয়ের জন্য। কিন্তু বিতর্কও যেন পিছু ছাড়ছে না তার। বেশ কয়েকবার দৃষ্টিকটু সিন্ধান্ত দিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে নিশ্চিত আউট না দিয়ে তোপের মুখেই পড়েছেন তিনি।
২০১৩ অ্যাশেজ সিরিজে স্টুয়ার্ট ব্রডকে আউট দেননি তিনি। পরে ওই টেস্ট হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। আসলে মাঠের আম্পায়ারদের ভুল ঠিক করতেই ২০০৮ সালে চালু করা হয় ডিসিশন রিভিউ পদ্ধতি (ডিআরএস)। তবে এবারও মেলবোর্ন টেস্টে পক্ষপাতমূলক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিলেন তিনি। তার এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সাবেক অজি তারকা মার্ক ওয়াহ ও রিকি পন্টিং।
জানা গেছে, মেলবোর্ন টেস্টে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে আছেন আলিম দার। বিতর্কটা উঠেছে, শনিবার টেস্টের তৃতীয় দিনে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যান মিচেল স্যান্টনার বিপরীতে বোলিং করেন মিচেল স্টার্ক। কিন্তু স্টার্কের বাউন্সার সামলাতে না পেরে লেগ গালি অঞ্চলে ট্রাভিস হেডকে ক্যাচ দেন স্যান্টনার।
কিন্তু ক্যাচের আবেদন নাকচ করে দেন মাঠের আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস। পরে রিভিউ নেয় অস্ট্রেলিয়া। টিভি রিপ্লে দেখেই উদযাপন শুরু করে দেয় অস্ট্রেলিয়া দল। কারণ রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্যান্টনারের ডান গ্লাভসের ‘রিস্টব্যান্ড’-এ লাগে। ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী এটি ব্যাটেরই অংশ। এর পরও স্নিকো ও হটস্পট দেখেন আলিম দার। এতো কিছুর পরও স্যান্টনারকে আউট দেননি তিনি। ফলে এরাসমাসের সিদ্ধান্তে থেকে যান এই পাকিস্তানি আম্পায়ার।
আর এ নিয়ে ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ও ফক্স স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার মার্ক ওয়াহ। টুইটে তিনি বলেন, ‘এটি তৃতীয় আম্পায়ারের খুব বাজে সিদ্ধান্ত। বলটা ছুঁয়ে যাওয়ার পর গ্লাভসের ব্যান্ড পরিষ্কার দেখা গেছে। এসব সিদ্ধান্ত দিতেই খেলায় ডিআরএস চালু করা হয়েছে।’
আলিম দারের সমালোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ও চ্যানেল সেভেন-এর ধারাভাষ্যকার রিকি পন্টিংও। তার মন্তব্য, ‘দিনের আলোর মতো পরিষ্কার বিষয়টি আম্পায়ারের চোখে পড়েনি। ঠিকঠাকমতো কিছু করতে না পারলে তা না করাই ভালো।’
নিউজিল্যান্ডের ইনিংস অবশ্য বেশি দূর এগোতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসারের দাপটে মাত্র ১৪৮ রানেই প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় কিউইরা। ৫ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স। ৩ উইকেট জেমস প্যাটিনসনের ও ২ উইকেট স্টার্কের।