ফরিদপুরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১০

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ জেলার সদরপুর উপজেলায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সমর্থিত ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ’র সমর্থক ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকরা পৃথকভাবে মিছিল বের করে। সদরপুর স্টেডিয়ামের সামনে দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ও সদরপুর স্টেডিয়ামে মুজিব বর্ষ ২০২০ প্রীতি ফুটবল ম্যাচের মঞ্চ ভাংচুর করে। এতে চার পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। আহতদেরকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আহতরা হলেন- এসআই ফরহাদ, এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই রবিউল ইলাম, কনেস্টবল জাহাঙ্গীর হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার ফকির, যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন, বাপ্পি, জুয়েল হাওলাদার, শাওন আহমেদ।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান মীম অভিযোগ করে পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনে (স্বতন্ত্র) সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়।

সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান জানান, আমি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘদিন এ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কিভাবে আমি ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা করতে পারি।

তিনি বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। গত তিনদিন আগে কাজী জাফরউল্লাহ সাহেব সদরপুরে জনসভা করে উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। এ কারণে সংর্ঘষ হতে পারে।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ