বগুড়া প্রেসক্লাবে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

প্রেস রিলিজ : প্রয়াত জননেতা আব্দুল মান্নানের নামে বগুড়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিক বৃন্দ। বগুড়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে সোমবার শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে এ দাবী জানানো হয়। বগুড়া-১ আসনের পর পর তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, প্রেসক্লাবের অন্যতম সদস্য সদ্য প্রয়াত জননেতা কৃষিবীদ আব্দুল মান্নান এর স্মরনে বেলা ১২ টায় ক্লাব মিলনায়তনে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু।
এতে বক্তারা বলেন, প্রয়াত জননেতা আব্দুল মান্নান এর যেমন সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল, তেমনি তার ক্ষুরধার লেখনী ছিল। তার লেখনী এবং বিভিন্ন কর্মকান্ড আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তিনি রাজনীতি করে অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী ছিলেন। একজন প্রতিভাবান রাজনৈতিক নেতা ছিলেন কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান। চরম দুঃসময়ে তিনি ছাত্রলীগের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পরামর্শে এবং সহযোগিতায় তিনি ছাত্রলীগকে কঠিন সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠিত করেছিলেন। কোন বিপর্যয় ও কষাঘাতে কখনো মাথানত করেননি বলেই তিনি রাজনীতিতে সঠিক স্থান করে নিয়েছিলেন। দেশের কৃষি ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন, কৃষক ও দেশের জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি ছিলেন সব সময় অবিচল।
বক্তারা বলেন, আব্দুল মান্নান একজন কর্মবীর মানুষ ছিলেন। তিনি নিরহংকারি মেধাবি নেতা ছিলেন। আজীবন তার প্রতি জনগণের দেয়া দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে গেছেন। তার প্রচেষ্টায় সোনাতলা-সারিয়াকান্দির চেহারা পাল্টে গেছে। ইতিহাসের স্বর্নাক্ষরে আব্দুল মান্নানের নাম লেখা থাকবে। তার অভাব কোনদিন পূরণ হবে না। এ ধরনের ত্যাগী নেতার মৃত্যুতে শুধু দল নয়, দেশেরও ক্ষতি সাধিত হলো।
বিএনপি জামায়াতের দূর্গ খ্যাত বগুড়া-১ আসন থেকে জননেতা আব্দুল মান্নান নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নিজ কর্মগুনে, সততা, দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে এই এলাকায় নৌকার বিজয় এনে পাথরে ফুল ফুটিয়েছেন। সারিয়াকান্দির যমুনা ও বাঙালী নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন, দুই উপজেলায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। স্বাধীনতার পর তার সময়ে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। বগুড়ার উন্নয়নে তিনি সবসময় কথা বলেছেন জাতীয় সংসদ সহ বিভিন্ন স্থানে। সংসদ সদস্য হিসেবে সাধারণ মানুষের যেমন খোঁজ নিয়েছেন ঠিক তেমনি তার নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও জেলার সদর উপজেলাতেও তিনি উন্নয়নমূলক কাজে ভ‚মিকা রাখেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে থেকে কাজ করে গেছেন। তাঁর আন্তরিক প্রচেস্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বগুড়া প্রেসক্লাবের ভবন নির্মানের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছেন। বক্তারা প্রয়াত নেতা আব্দুল মান্নানের নামে বগুড়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানিয়েছেন।
ক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জেএম রউফ এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম নয়ন, প্রদীপ ভট্টাচার্য শংকর, আব্দুল মোত্তালিব মানিক, সমুদ্র হক, মিলন রহমান, আরিফ রেহমান, সুমনা রায়, আমজাদ হোসেন মিন্টু, বাদল চৌধুরী, চপল সাহা, ওয়াসিউর রহমান রতন, এসএম আইয়ুব, জিয়া শাহীন, শফিউল আজম কমল, ঠান্ডা আজাদ, আব্দুস সালাম বাবু, আবুল কালাম আজাদ, এসএম কাওছার, ইলিয়াস হোসেন, ইনছান আলী শেখ, রেজাউল হক বাবু, শফিকুল ইসলাম সফিক, আহম্মেদ উল¬াহ মনু, সাজ্জাদ হোসেন পল¬ব, মোস্তফা মোঘল, আলমগীর হোসেন, ফরহাদুজ্জামান শাহী, লতিফুল করিম, তোফাজ্জল হোসেন, মেহেরুল সুজন, শাহীন হোসেন প্রমুখ।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ