বগুড়া নিউজ ২৪ঃ কমলালেবু কম-বেশি সবাই খেতে পছন্দ করেন। স্বাস্থ্যের উপকারিতা দিক থেকেও এটি গুণ রয়েছে। এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি। আমরা খাওয়ার সময় কমলালেবুর খোসাটি সমসময়ই ফেলে দেই। কিন্তু এটা কোনো ফেলনা জিনিস নয়। খোসা হলেও এর রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার।
কমলালেবুর খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা, কাশি বা অ্যাজমার সমস্যা ও লিভারের সমস্যাসহ আরও অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা করে। তাই এর খোসাগুলো ফেলে না দিয়ে বরং সংরক্ষণে রাখুন।
জেনে নিন কমলালেবুর খোসার গৃণ সম্পর্কে-
ওজন কমাতে:
উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলের সমস্যা ও ওজন কমানোর জন্য কমলার খোসা অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ এতে ট্রাইগ্লিসারাইড দ্রবীভূত থাকে যেটি সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে।
অ্যাজমা ও কাশির সমস্যায়:
কমলার খোসার গুঁড়ো কাশির সমস্যা দূর করে। এছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও অ্যাজমা উপশমে এটি কাজে লাগে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কমলার খোসায় তৈরি চা নিয়মিত পান করুন।
কফ ও পিত্তের সমস্যায়:
কফ ও পিত্ত সমস্যার সমাধানে কমলার খোসা উপকারী। কমলার খোসা পাতলা করে ছিলে গ্রেটারে ঘষে নিন। খোসার কুচিগুলো রঙ চা তৈরির সময়েই ঢেলে দিন। এর সাথে অল্প পরিমাণে আদা দিতে পারেন। এবার পানি ফুটিয়ে আদা ও কমলার গন্ধ ছড়ালেই চায়ের মতো পান করুন। চাইলে মধুও মেশাতে পারেন।
অ্যাসিডিটি দূর করতে:
কমলার খোসার তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রয়েছে যা পেটের অ্যাসিডিটি দূরীকরণে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে ডি-লিমোনেন নামের একটি উপাদান আছে যা অন্ত্র ও লিভার ফাংশনকে স্বাভাবিক রাখে। আর এর তেল পানিতে দু’ফোঁটা মিশিয়ে পান করলে অ্যাসিডির সমস্যা একেবারেই চলে যাবে।