মেরুদণ্ডের জন্মগত ত্রুটি, টিউমার তার চিকিৎসা ও প্রতিকার

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ব্রিট্রেনের জরিপে দেখা গিয়াছে যে প্রতি ১০০০ মানুষের মধ্যে ২ জনের মেরুদ-ের ত্রুটি নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। কিন্তু জাপানের জরিপে এই পরিসংখ্যান ১০০০০ মানুষের মধ্যে মাত্র ২ জন। উন্নত বিশ্বে এই রোগের প্রকোপ দিন দিন কমে যাচ্ছে। যদিও আমাদের দেশে কোন জরিপ নেই। তবুও আমাদের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। মেরুদণ্ডের ত্রুটি বা স্পাইনাল ডিজরেফিজম প্রধানত ৩ প্রকার। (১) মাইলো ম্যানিঙ্গোসিল, (২) ম্যানিঙ্গোসিল (৩) স্পাইনা বাইফিডা অকালটা। জন্মগতভাবে রোগীর মেরুদ-ের নিচের অংশে টিউমরের মত ফোঁলা অংশ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে।
অনেক সময় সেই স্থান দিয়ে পানি বের হয়ে আসে। কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে সেখানে সলিড টিউমার থাকে। কারো কারো সেখানে পানির থলি থাকে।

এই সমস্ত রোগী সাধারণত পায়ের নড়াচড়ার শক্তি থাকে না। কারো অনবরত প্রস্রাব ঝরে, কারো মাথা বড় হতে থাকে এবং ব্্েরইনে পানি জমে। কোন রোগীর ক্ষেত্রে সেখানে এক গুচ্ছ চুল থাকতে পারে। এ রোগের প্রকৃত কারণ জানা যাইনি। তবে পারিবারিকভাবে এক ভাই বোনের থাকলে অন্যদের হতে পারে। তাছাড়া কিছু ওষুধ যেমন সোডিয়াম ভেলপয়েট প্রেগনেন্সির আগে খেলে এই রোগ হতে পারে। তাছাড়া কিছু ভিটামিন যেমন ফলিক এসিড এর অভাব থাকলে এই রোগ হতে পারে।

এই জন্য বাচ্চা নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরমর্শক্রমে আগে থেকেই ফলিসন ট্যাবলেট একটা করে ২ বার মাকে খেতে হবে এবং প্রেগনেন্সির সময়ে এই ভিটামিন কনটিনিউ করতে হবে। তাছাড়া নিজেদের রক্ত সম্পর্কে ভাই বোন বা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিবাহ দেওয়া যাবে না। এইরোগ হলে নিউরোসার্জন এর মাধ্যমে অপারেশন করতে হবে।

লেখক: অধ্যাপক, নিউরো সার্জারী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। ই- মেইল: dr.haradhan@yahoo.com

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ