জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ সাংবিধানিকভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা।

নোয়াখালী ও খুলনায় পৃথক ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সোমবার রাতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সহ বিভিন্ন হল ইউনিটের প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে শান্তি বিরাজ করছে, তখন একাত্তরের প্রেতাত্মারা আমাদের ভাইদের উপর হামলা করে তাদের হত্যা করছে। আমরা দিন-রাত তাদের প্রতিহতের আন্দোলন করে যাবো। ছাত্রলীগ বসে থাকবে না, দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যাবে। মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তিনি।

সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, একাত্তরের কুচক্রী মহল দিনে দুপুরে একটি চায়ের দোকানে ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। সেখানে আমাদের তিনজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। একজন মারা গেছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশে ছাত্রশিবিরের কোনো স্থান হবে না। আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আমরা জঙ্গিবাদের উত্থান হতে দেব না। এসময় তিনি জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, রক্ত দিয়ে রক্তের বদলা নিতে হবে। জামায়াত-শিবিরকে আর সহ্য করা হবে না। যেখানে জামায়াত-শিবির দেখবেন সেখানেই আঘাত করবেন। প্রথম আঘাত আমি করতে চাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা যখন ব্রিটিশদের উপনিবেশবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি তখনও জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা উপনিবেশবাদ বিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। যখন ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছি, সেদিনও জামায়াত-শিবির স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছে। এসময় তিনি সাংবিধানিকভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এই হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিলটি সারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে শেষ হয়।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা রাবিকুল ইসলাম সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একই দিন খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান ওরফে রাসেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। দুটি ঘটনার তীব্র নিন্দা ও খুনিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় ছাত্রলীগ।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ