সোনার বাংলা গড়াই হোক মুজিববর্ষের অঙ্গীকার : রাষ্ট্রপতি

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শে সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতৃত্ব গড়ে উঠবে বলে আশা করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উদযাপনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রপতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে মূলত স্বাধীনতার ডাক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন: এই ভাষণ এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।

রাষ্ট্রপতি তার বক্তৃতায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরামর্শ মেনে চলারও আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সব ধরনের গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৭ মার্চ একটি স্মরণীয় দিন। এবছর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি এই মহান নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। বছরজুড়ে দেশ-বিদেশে সাড়ম্বরে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে। জন্মশতবার্ষিকীর এই বর্ণাঢ্য আয়োজন যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের জন্য আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের এ মহানায়ককে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে প্রত্যাবর্তন, স্বল্পসময়ের মধ্যে দেশের সংবিধান রচনা, জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ, সকল স্তরে দুর্নীতি নির্মূল, কৃষি বিপ্লব, কলকারখানাকে রাষ্ট্রীয়করণসহ দেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ সহ তার উপর লিখিত গ্রন্থ অধ্যয়ন করে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে জাতিগঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার নীতি ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতৃত্ব- এ প্রত্যাশা করি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করাই হোক মুজিববর্ষে সকলের অঙ্গীকার।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ