বগুড়া নিউজ ২৪ঃ করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ ঘোষণা করেছে বিসিবি। আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুরে সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান। ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণার পর সরকারি সিদ্ধান্তে সব ধরনের খেলাধুলাও বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।বিভিন্ন ক্লাব ও ক্রিকেটাররা লিগের খেলা চালিয়ে যেতে চান বলে জানা গিয়েছিল। আবাহনী লিমিটেডের কোচ খালেদ মাহমুদ, যিনি একজন বিসিবি পরিচালকও, বলেছিলেন ক্রিকেট মাঠে শঙ্কা খুব একটা নেই বলে খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতির খাতিরেই খেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, বললেন বিসিবি সভাপতি।
পাপন জানান, আপনারা জানেন যে পুরো পৃথিবীতেই যা হচ্ছে, সব জায়গাতেই খেলা বন্ধ। আমাদেরও ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গেছে, প্রথম রাউন্ডের পড় ডিপিএল বন্ধ করেছি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমরা দিন দুয়েক অপেক্ষা করি, অবস্থা ও পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেব। সেটি একটি তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত ছিল। এখন আমরা সবাই বসে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু কিছু পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। প্রথম দিকে মনে হয়েছে খেলোয়াড়রা খেলতে চাচ্ছে, ক্লাবগুলোও খেলতে চাইছিল। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, কিছু ভিন্নমতও আসছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্রিকেটের সকল খেলা আপাতত স্থগিত।
কবে নাগাদ আবার ক্রিকেট শুরু হতে পারে, সেটির উত্তর সময়ের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে খানিকটা ধারণা তিনি দিয়ে রাখলেন। পরিস্থিতির যদি উন্নয়ন হয়, যদি মনে হয় এখন খেলা চালু করা সম্ভব, তাহলে আমরা খেলা চালু করব। সময় সম্পর্কে বলা মুশকিল। যদি বুঝতাম যে ৩১ মার্চের পর সব ঠিক হয়ে যাবে, তাহলে বলতাম ৩১ মার্চ! কিন্তু পরিস্থিতি তখন ভালো হয় নাকি আরও খারাপ হবে, তা তো জানি না।
তবে আমার মনে হয় না, ১৫ এপ্রিলের আগে ডিপিএল শুরুর সম্ভাবনা আছে। বরং এটা আরও বাড়তে পারে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শুধু ক্রিকেটারদের নয়, প্রতিটি মানুষের সচেতন ও সতর্ক হওয়া উচিত করোনাভাইরাস নিয়ে। এজন্যই আমরা মনে করছি, ক্রিকেট কোনোভাবেই চলতে পারে না। খেলা বন্ধ হওয়ার এই সময়টায় ক্রিকেটারদের সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নাজমুল হাসান।
লিগ শুরুর সময়ই প্রতিটা খেলোয়াড়কে একটা নির্দেশনা ক্লাব থেকে দেওয়া হয়েছিল। সতর্কতামূলক কথাগুলি তাদের জানানো হয়েছে। এখনও তাদের জন্য একই পরামর্শ থাকবে। একদম না পারলে যেন কেউ বাইরে না যায়। অন্য কারও সংস্পর্শে যত কম আসা যায়, তত ভালো। বলছি না লক ডাউন করতে হবে, করতে পারলে ভাল হতো। তবে ওদেরকে সাবধানে থাকতে হবে।