করোনাভাইরাস: প্রয়োজনে যে কোনো অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা যাবে

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ করোনা সংক্রমণে বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় বা স্থানান্তর করা যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকি হিসাবের মাধ্যমে ছাড় করা যাবে এসব অর্থ। এ সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করে সোমবার একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রথমে ব্যাংকারদের চেষ্টা করতে হবে সংশ্লিষ্টদের অনুকূলে কোটার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করার। এতে প্রয়োজন না মিটলে ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে যে কোনো অংকের বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা যাবে। পরে এগুলো সমন্বয় করতে হবে। তবে কোটার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো অনুমোদন লাগবে না। কিন্তু কোটার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করলে পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, গ্রাহকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড থাকলে ওই কার্ডের সীমা বাড়িয়ে দেয়া যাবে। আর কার্ড না থাকলে গ্রাহকের সুবিধা অনুযায়ী যে কোন ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা যাবে। এটি নির্ভর করবে গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের সম্পর্ক ও ব্যাংকের সন্তুষ্টির ওপর।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশে এখন লকডাউন চলছে। ফলে বিমানসহ অন্য পথের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ রয়েছে। ফলে ভ্রমণে বা চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে অনেকে আটকে পড়েছেন। নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত থাকার কারণে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া অর্থও শেষ হয়ে এসেছে।

অনেকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের সীমাও শেষ। যাদের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড নেই তারা পড়েছেন আরও বিপদে। এসব বিষয়ে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলোকে জানিয়েছেন। সেখান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অনেকে ব্যাংকগুলোর সঙ্গেও কথা বলেছেন। ব্যাংকগুলোর পক্ষে এটি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভ্রমণ কোটায় একজন ব্যক্তি বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার বা এর সমপরিমাণ যে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নিতে পারেন। চিকিৎসা খাতে সংশ্লিষ্ট রোগের ধরন অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা নেয়া যায়। এর বেশি নিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগে। নতুন সার্কুলার অনুযায়ী বিদেশে আটকে পড়া গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী আগে বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দিতে হবে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ