এবার অনলাইনে বৈশাখ উদযাপন করবে রাবি

রাবি প্রতিনিধিঃ বাঙালি জাতির অন্যতম উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’। বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ কে বরণ করে নিতে নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নেন অনেকেই। কিন্তু এ বছর দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাই জমজমাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে না এবারের উৎসবটি।

তবে থেমে নেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। বাঙালি জাতির অন্যতম এ উৎসবের ঐতিহ্য ধরে রাখতে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে ডিজিটাল পহেলা বৈশাখ। তারা অনুষ্ঠানের নাম রেখেছেন ‘ই-বৈশাখ ১৪২৭’। মঙ্গলবার দিনব্যাপী উদযাপিত হবে এ অনুষ্ঠানটি।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, অনুষ্ঠানমালায় নাচ, গান, আবৃত্তি, করোনা সচেতনতামূলক ফ্যাশন শো এবং বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘কমলাকান্তের জবানবন্দী’ এবং ‘অবাক জলপান’ নাটক।

থাকছে বিগত বছরগুলোতে চারুকলার মঞ্চে সরাসরি অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামের কিছু ভিডিও ক্লিপ যেমন গান, নাচ, যাত্রাপালা (আনারকলি) ইত্যাদি। এছাড়াও রাবির চারুকলা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিল্পকর্মের ছবি নিয়ে একটি ‘অনলাইন শিল্প প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হবে। একজন সরাসরি সঞ্চালক স্কাইপি ভিডিও কলে কিছু পারফর্ম এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবেন যা সরাসরি প্রচারিত হবে।

দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটি চারুকলা অনুষদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘রেডিও চারু’তে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য মানুষ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠানো ভিডিও পারফর্মেন্স প্রদর্শিত হবে। পারফর্মার তাদের নিজ নিজ ঘরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কন্টেন্ট তৈরি করেছেন।

এছাড়া ই-বৈশাখের একটি অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে করোনা সংকটে সমাজের হতদরিদ্র, অসহায় এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষদের মাঝে বিরাজমান খাদ্য ও স্বাস্থ্য উপকরণ সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সৈয়দ শাহরিয়ার ইসলাম বলেন, নববর্ষ নিয়ে বাঙালি জাতির যে ঐতিহ্য, সেটি রক্ষার্থে রাবি চারুকলা অনুষদ প্রথমবারের মতো ‘ই-বৈশাখ ১৪২৭’ আয়োজন করতে যাচ্ছি।

তাছাড়া আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে করোনায় অসহায় ও গরীব মানুষের খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট দূর করতে ফান্ড সংগ্রহ করা।

চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর তালুকদার বলেন, বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। তবে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী জনসমাগম করতে নিষেধ করেছেন। তাই বাঙালি জাতির যে ঐতিহ্য, সেটি ধরে রাখতেই ক্ষুদ্র পরিসরে আমরা অনলাইনে এ আয়োজন করতে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ