চরফ্যাশনে অবৈধ ইটভাটায় দুষিত হচ্ছে পরিবেশ

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ভোলার চরফ্যাশনে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত ইট ভাটা। এসব ভাটায় নির্বিচারে বনের কাঠ পোড়ানা হচ্ছে। ফলে মারাত্মক ভাবে দুষণ হচ্ছে পরিবেশ। প্রশাসন মাঝে মধ্যে দায়সারা অভিযান পরিচালনা করলেও রুখতে পারেনি ভাটা মালিকদের।
ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলায় ৩৪ টি ইটভাটার মধ্যে ১১ টির ছাড়পত্র রয়েছে। আর বাকি ২৩টি ছাড় পত্র নেই। ইটভাটা মালিকেরা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গড়ে তোলেন এসব ইটভাটা।
জানা যায়, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৮ টি ইটভাটার অনুমমোদন রয়েছে। বাকি ভাটাগুলো কোনোটিই নিয়ম মেনে পরিচালিত হচ্ছে না। অধিকাংশ ভাটায় ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি নেই। ভাটাগুলোর বেশির ভাগই ড্রাম চিমনি ব্যাবহার করে স্থাপিত হয়েছে আবাদি জমি ও ঘনবসতি এলাকায়। লোকালয়ে অবস্থিত হওয়ায় এবং ব্যারেল চিমনি ব্যবহার করায় ওই সব এলাকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। অনেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন।
ইটভাটা মালিকদের সূত্রে জানাযায়, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভাটায় ইট পোড়ানোর মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত ১ চিমনির একটি ভাটায় এক মৌসুমে ২৭ থেকে ২৮ লাখ ইট তৈরি হয়। আর দুই চিমনির ভাটায় এক মৌসুমে ৫০ লাখ পর্যন্ত ইট তৈরি করা সম্ভব। এক লাখ ইট তৈরিতে কাঠ লাগে ২ হাজার মণ। সেই হিসেব অনুযায়ী উপজেলার ইটভাটাগুলোতে কোটি কোটি মণ কাঠ পোড়ানো হয়। তবে প্রকৃত হিসেব এর চেয়ে অনেক বেশি বলে জানা যায়।
ইটভাটা মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদকক ওমর ফারুক বাবুল জানান, যেসব ইট ভাটার অনুমোদন নেই। তারা আবেদন করে একছরের জন্য সীমিত সংখ্যক ইট পোড়ান। ওই ইট দিয়ে আগামী বছর সরকারের নিয়ম মেনে ভাটা তৈরী করবেন।
ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে চরফ্যাশন উপজেলা বন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন জানান, এ বছরে আমার জানামতে ইটভাটায় ম্যানগ্রোভ বাগানের কাঠ ভাটায় পোড়ানো হচ্ছেনা। যদি এমন কোন অভিযোগ পাই তাহলে ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, চরফ্যাশন উপজেলায় ইতিপুর্বে একটি ইটভাটার ১ লাখ ২০ টাকা জরিমানা ও দুটি ইট ভাটার আগুন পানি দিয়ে নিভিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ