শেরপুর (বগুড়া) থেকে এসআইশফিকঃ বগুড়ার শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় সেমি অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম (৪৫) আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত সিরাজুলকে শেরপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত রোববার বিকেল ৫টায় শেরপুর উপজেলার শেরুয়া বটতলায় ওই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া-৫ আসনের এমপি আলহাজ মো. হাবিবর রহমান এর পুত্র ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল সনি, স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ ওই প্রতিবাদ কর্মসুচিতে অংশ নেয়। মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর উপজেলা সেমি অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব আকন্দ। অটো মিল মালিক সমিতির ব্যানারে ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা সহ প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দ্রæততম সময়ের মধ্যে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে আগামীতে মহাসড়ক অবরোধ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শেরুয়া বটতলা এলাকার জমির মালিকানা বিরোধ নিয়ে গত রোববার সকাল নয়টায় প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় সিরাজুল ইসলাম আহত হন। এনিয়ে তিনি শেরপুর থানায় অভিযোগ করেন।
সুত্র জানায়, শেরুয়া মৌজায় শামীম নামে এক ব্যক্তির নিকট ৬৯শতক জমি কিনে নেয় এক ব্যক্তি। তারমধ্যে মাত্র ছয় শতক জমি দখলে কম হয়। গত শুক্রবার সকালে স্থানীয় ভাবে ভূমি জরিপের মাধ্যমে ওই জমির সীমানা নির্ধারণের সময় হামলা হয়। এসময় সিরাজুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সাগরকে মারপিট করা হয়। পরে ওই ঘটনার রাতে তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটন বাদি হয়ে সাতজন সন্ত্রাসীদের নাম সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি এজাহার দেয়া হয়। তবে এই ওই এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি। এদিকে থানায় পাল্টাপাল্টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত করে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মঈন উদ্দীন তালুকদারের দেয়া অপর অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন জোরপূর্বক তার মায়ের জমি দখলে নিতে যান। খবর পেয়ে তারা সেখানে গিয়ে আপোষ-রফার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগে থেকে সেখানে থাকা লোকজন তাদেরকে মারপিট করেন এবং চারটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করেছেন। শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, শেরুয়ায় মারামারির ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। জমি নিয়ে বিরোধের ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজন থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয়দের মতে, সরকারি দলের শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতার ইশারায় সেখানে হামলা পাল্টা হামলা চলছে। আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের ভক্ত অনুসারীরা।
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, জুন ৩০, ২০২০, ২০১ বার পঠিত
Please follow and like us: