জায়েদ খান ও হিরো আলম দ্বন্দ্বের অবসান ঘটালেন অনন্ত-বর্ষা

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ হিরো আলম কে? এই নামের কোনো অভিনেতাকে বাংলাদেশ চেনে না। এমনই এক বক্তব্য রেখেছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।

বিষয়টি নিয়ে জটিল অবস্থার তৈরি হলে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক অনন্ত জলিল এর মধ্যস্থততায় এগিয়ে আসেন। তাদের হাত ধরেই অবশেষে মিটলো মিশা-জায়েদ বনাম হিরো আলমের ভুল বোঝাবুঝি। আজ শনিবার এফডিসিতে স্ত্রী বর্ষাসহ শিল্পী সমিতিতে এসে সব মিটমাট করেন অনন্ত।

মূল ঘটনার সূত্রপাত শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি লাইভ অনুষ্ঠানে। জয় মিশা সওদাগরকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনাদের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কি সদস্য হিরো আলম? এই প্রশ্ন কয়েকবারেও বুঝতে পারেননি মিশা। হিরো আলমকে চিনতেই পারছিলেন না তিনি। মিশা বলেন, ও হ্যাঁ তিনি তো আমাদের আজীবন সদস্য। কিন্তু জায়েদ খান সেই ভুল ভাঙেন।

জায়েদ বলেন, না না, আমার প্রেসিডেন্ট বুঝতে পারেননি। একজন আছেন যিনি মিউজিক ভিডিও করেন। উনার কথা বলছেন। হিরো আলম নামে আমরা কাউকে চিনি না। আমরা হিরো বলতে চিনি নায়ক রাজ রাজ্জাক, হিরো বলতে চিনি আলমগীর সাহেবকে… হিরো আলম নামে কাউকে চিনি না।

সে নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। হিরো আলম উল্টো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে জটিল অবস্থার তৈরি হলে মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক অনন্ত জলিল।

আজ ১১ জুলাই অনন্ত জলিল নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে একপাশে দেখা যায় জায়েদ খানকে। অন্য পাশে হিরো আলম। মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। ছবিটির ক্যাপশনে অনন্ত লিখেছেন, নাথিং ইমপসিবল।

এটি পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়েছে। চলচ্চিত্রপাড়া ও সামাজিক মাধ্যমে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও। অনেকে বলছে, শিল্পীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়। সেটি মিটমাট করায় অনন্ত জলিল ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ