ষ্টাফ রিপোর্টারঃ কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বগুড়ার কয়েকটি উপজলার নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় পানিতে টইটুম্বুর। পানিতে তলিয়ে গেছে তিন উপজেলার নিচু এলাকার বিভিন্ন পুকুর ও মাছের ঘের। তলিয়ে যাওয়া পুকুর ও মাছের ঘেড় থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। মাছ ধরার জন্য সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর মাছ ধরার অন্যতম বাঁশের তৈরী উপকরণ-ঘুনি, টেপারী, বুচুঙ্গা, দেয়াইর, চাবি, চাঁই ও পলো। এ বর্ষার মৌসুমে মাছ ধরার উপকরণের চাহিড়া বেড়ে গেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাঁট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ ধরার উপকরণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে মাছ ধরার উপকরণ কিনছেন। বিক্রি হচ্ছেও প্রচুর। মাছ ধরার উপকরণ কিনতে আসা আব্দুল করিম মিয়া ও লোকমান হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষার নতুন পানি ও টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি বেড়ে গেছে। বিভিন্ন পুকুর ও মাছের ঘেড় তলিয়ে মাছ বিভিন্ন নদী, খাল-বিল, জলাশয় ও নিচু জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি ঘুনি, টেপারী, বুচুঙ্গা, দেয়াইর, চাবি, চাঁই ও পলো দিয়ে (মাছ ধরার ফাঁদ) সহজেই বিভিন্ন মাছ ধরা যায়। বছরের এই সময়টা মাছ ধরার এই উপকরণ বেশি কেনা-বেচা হয়। এই মৌসুমে কেনা একেকটি বাঁশের মাছ ধরার উপকরণ এক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
অপর ক্রেতা হারুন মিয়া জানান, এ সব মাছ ধরার উপকরণ কিনে যে সমস্ত জায়গা দিয়ে মাছ চলাচল করে সেই সব জায়গায় এগুলো পেতে রাখলে মাছ আটকে থাকে। তাতে করে বাজার থেকে মাছ কিনতে হয় না। এ সময় মাছের চাহিদাটাও মিটিয়েও বিক্রি করা যায়। আর অতিরিক্ত মাছগুলো বাড়ীর আশপাশের লোকজন, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে পাঠানো যায় এবং মাছগুলো শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
নামুজা থেকে আসা মাছের উপকরণ বিক্রেতা (মাছের ফাঁদ) আ. হালিম ও কামাল মিয়া জানান, আমরা সারা বছরই এসব মাছ ধরার উপকরণ তৈরী করে বিক্রি করি। আমাদের পরিবারের সকল সদস্যরা এ কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করে।
অপর বিক্রেতা আ. বারেক মিয়া জানান এসব মাছ ধরার উপকরণ তৈরী করা আমার পেশা। পরিবারের সকল সদস্য মিলে বর্ষার আগের থেকেই আমরা মাছ ধরার ডারকি, পলি, ঘুণি, টেপারী, বুচুঙ্গা, চাঁই গুলো তৈরী করে থাকি। সপ্তাহে ২০/২৫ টি করে মাছ ধরার উপকরণ তৈরী করা যায়। এসব উপকরণ সাইজ অনুযায়ী ১৫০/২৫০ এবং ৫‘শত টাকা পর্যন্তও বিক্রি করা যায়।