বশেমুরবিপ্রবির ৯১ টি কম্পিউটার চুরি

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ দীর্ঘ ছুটির মধ্যে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ৯১ টি কম্পিউটার চুরি হবার ঘটনা ঘটেছে।

একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার (কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার) থেকে ওই ৯১টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (চলিত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো: শাহজাহান ও রেজিস্ট্রার ড. মো: নূরউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত তিন বছরে মোট ৪ বার চুরির ঘটেনা ঘটেলো। এতে অন্তত দুই শতাধিক কম্পিউটার চুরি হয়েছে। ২০১৭ সালে ৫০টি, ২০১৮ সালে ৪৭ টি ও ২০১৭ সালের আগেও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বেশ কিছু কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো: নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদের ছুটি শেষে গতকাল রোববার (০৯ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়।

এসময় একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার (কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার) থেকে ৯১টি কম্পিউটার চুরি হবার বিষয়টি ধরা পরে। গ্রন্থাগারের পেছনের দিকের জানালা ভেঙে কম্পিউটারগুলো কে বা করার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তারা জানান।

এ দিকে আজ সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো: নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়েছে, কম্পিউটার চুরির ঘটনায় তদন্তের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

আইন বিভাগের ডীন মো: আব্দুল কুদ্দুস মিয়কে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার ড. মো: নূরউদ্দিন আহমেদকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন মো: আব্দুর রহিম খান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী, প্রক্টর মো: রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরীয়ান মো: নাছিরুল ইসলাম ও সহকারী রেজিষ্ট্রার মো: নজরুল ইসলাম।

এ পত্রে আরো বলা হয়েছে, ঈদ-উল-আযহার ছটি থাকাকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ডগণ কেউ কেউ অনুনোমোদিত ছুটিতে ছিলেন। কেন তারা এমনটি করলেন এ বিষয়ে কমিটি তদন্ত করবেন। কমিটিকে সুষ্ঠ তদন্ত শেষে আগাশ ি৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়েছে। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে গতকাল রোববার (০৯ আগষ্ট) পযর্ন্ত ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এ সময়ে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। এর আগে ২০ তারিখ উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও সকল কম্পিউটার যথাস্থানে ছিলো। তাই আমরা ধারণা করছি ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন গার্ডের মধ্যে ২০ জন ২৩ তারিখ থেকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই অনুপস্থিত ছিলেন, তাই নিরাপত্তা জনিত কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করেছি অবশিষ্ট গার্ড ও আনসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো: শাহজাহান বলেছেন, এ ঘটনায় রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এর আগেও তিনবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিটার চুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে চুরির ঘটনার একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ