বগুড়া নিউজ ২৪ঃ চট্টগ্রামের পটিয়া রেলওয়ে ৩৮ নম্বর ব্রীজ ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়েছে । শ্রীমাই খাল ও ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। ফলে শ্রীমাই রেলওয়ে সেতু ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়ে। এছাড়াও শতশত একর কৃষি ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে বালু সিন্ডিকেটের কারণে। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকরা দিশাহারা। তারা প্রতিবাদ করলে মামলা হামলা নির্য়াতন করে বলে একাধিক ভুক্তভোগী কৃষকের অভিযোগ।
তাছাড়াও এ ব্রীজ সামান্য দেবে গেলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করেছে বিশিষ্টজনরা। সুএে জানাযায়, শ্রীমাই খালের বালি উক্তলোন নিয়ে সরকারি দলের কথিপয় দুইটি গ্রুপ বিদ্যামান রয়েছে এক পক্ষ রাতে শ্রীমাই খালের বালি উত্তোলন করে আর অন্য পক্ষ দিনের বেলায়।
কিন্তু সরকারি বিধি নিষেধ না মেনে শ্রীমাই ব্রীজ এলাকায় মহাসড়ক সংয়োক্ত হওয়ায় এ অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের সুয়োগ হওয়ায় শ্রীমাই খালের রেলওয়ের ৩৮ নম্বর ব্রীজ ও বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বালি উত্তোলনের ঘটনায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার হাইদগাও, কচুয়াই, ভাটিখাইন, ছনহরা ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবারের গৃহহীন, কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়ে হয়ে পড়ে।
অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ, একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক চক্র জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।উপজেলার শ্রীমাই খাল থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন দিনে রাতে প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক বালি উত্তোলন করা হচ্ছে।
বালি উত্তোলনে ঘটনায় চারপাশে পরিবেশ মারাত্বক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকেরা জানায়।কাগজে কলমে ইজারাদার আরমিন অ্যান্ড ব্রাদার্স হলেও পটিয়ার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী চক্রকে দিয়ে ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তারা। শ্রীমাই খালের দুটি পয়েন্ট ২১ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিলেও ৩০ লাখ টাকা দিয়ে স্থানীয় কিছু দলীয় লোকজন কিনে নিয়ে কোটি কোটি টাকার বালুর ব্যবসা করে যাচ্ছেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল লাইনের শ্রীমাই খালের উপর যে সেতু আছে সেটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শ্রীমাই খাল থেকে বালি উত্তোলন না করার জন্য স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামশুল হক চৌধুরী প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেও এই নির্দেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
একটি চক্র অবৈধভাবে বালু তোলে বিক্রি করে কোটি টাকা ভাগিয়ে নিচ্ছে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশের নেতা কর্মীদের অভিযোগ।স্কেভেটরে শুধু মাত্র খালের উপর এবং নিদিষ্ঠ পয়েন্ট থেকে বালু তোলার নির্দেশ থাকলেও এলাকার শতশত মানুষের ফসলি জমি নষ্ট করে জোরপূবর্ক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এবিষয়ে রেলওয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষ জরুরি ব্যাবস্হা নেওয়ার দাবি জানান সচেতন মহল।