বাংলাদেশে নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ

ববগুড়া নিউজ ২৪ঃ বাংলাদেশে নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘ। সেই সাথে সংস্থাটি ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সমর্থন ও সুরক্ষা প্রদান এবং বিচারের ক্ষেত্রে দ্রুততা আনয়নে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জরুরি সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে।

সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার জাতিসঙ্ঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশে নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এগুলো গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন।’

বাংলাদেশ কার্যালয়ের মাধ্যমে জাতিসঙ্ঘ জানায়, নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া নারী সহিংসতার ঘটনাটি, যা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তা সামাজিক, আচরণগত ও কাঠামোগতভাবে বিদ্যমান নারী-বিদ্বেষকে ফুটিয়ে তুলেছে।

ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো এক টুইটে এ বিবৃতি প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতিসঙ্ঘ ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ জনগণ এবং সুশীল সমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে আমরা মনে করি, নোয়াখালীর ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে এটি কোনো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি পদ্ধতিগত সংস্কারের সুনির্দিষ্ট আহ্বান।’

জাতিসঙ্ঘ জানায়, তারা নারী অধিকার সুরক্ষা ও শক্তিশালীকরণে পদ্ধতিগত সংস্কারের পক্ষে তাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরছে। তারা জেন্ডার সংবেদনশীল বিচার ব্যবস্থার প্রণয়ন ও উন্নয়ন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা পরিচালনার পদ্ধতিতে ব্যাপক পুনমূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।

সংস্থাটি আরো জানায়, নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার জন্য অসংখ্য আইন ও কর্ম পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে সে সম্পর্কে জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি সুনিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

জাতিসঙ্ঘ তাদের সব অংশীদারকে সাথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লিঙ্গ বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক নীতিগুলোকে চিহ্নিত করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কাজ করছে। তারা এমন একটি সমাজ গঠনে কাজ করছে যেখানে নারী ও মেয়েরা নিরাপদ বোধ করবে এবং তারা ক্রমে উন্নয়নের দিকে যাবে, বলা হয় বিবৃতিতে।

নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বৈশ্বিক পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক জানিয়ে এতে বলা হয়, ‘আমরা দেখতে পাই যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত, কিন্তু সবচেয়ে কম সাজাপ্রাপ্ত। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ