রায়হানুল ইসলাম,
বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লম্পট দপ্তরী সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের পুর্নগ্রাফি ছবি দেখানোসহ অনৈতিক কাজের বিভিন্ন অভিযোগ উপজেলা নির্বার্হী অফিসার (ইউএনও) মোঃ রাসেল মিয়ার বরাবর দিয়েছে এলাকাবাসী। তবে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় অভিযোগকারীরা রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। অভিযোগ তুলে নিতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ্যপ্রহরী পাইকপাড়ার অহেদ আলীর পুত্র লম্পট সাইদুল ইসলাম উপবৃত্তির টাকা, প্রতিবন্ধীভাতা তুলতে গেলে চেক বইয়ে স্বাক্ষর নিয়ে টাকা তুলে এনে অর্ধেক টাকা হাতিয়ে নেয়। একই এলাকার তাহেরুলের প্রতিবন্ধী কন্যা মিশু আক্তারের ২হাজার টাকা, রিক্সা চালক সুমন মিয়ার পুত্র প্রতিবন্ধী সোহানেরও টাকা আত্মসাত করেছে ঐ সাইদুল। সে ছাত্রীদেরকে মোবাইলে পূর্ণগ্রাফি ছবি দেখিয়ে, অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এমনকি বিগত দিনে ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রাম্য শালিস করেও কোন লাভ হয়নি। লোক-লজ্জা ও মেয়েকে বিয়ে দেয়ার বিড়ম্বনা এড়াতে তার বিরুদ্ধে বন্ধ হয়ে গেছে একের পর এক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার। সমপ্রতি বিদ্যালয়ের গাছ কাটা ও বিদ্যালয়ের বিল্ডিং তৈরীর জন্য ইট ও খোয়া নিজের ইচ্ছেমতো নেয়ার অভিযোগও রয়েছে সাইদুলের বিরুদ্ধে। আর একাজে সহযোগি হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমাম হোসেন সবুজ ও সভাপতি তোসাদ্দের হোসেনের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছেন ভুক্তভোগীরা। এলাকার সাজেদুর রহমান টিটু, রফিকুল ইসলাম, বৃদ্ধ আব্দুল কাফির দাবি, অবিলম্বে সুষ্টু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে বিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য। তবে প্রশাসনের গড়িমসি তাদেরকে নিরাপত্তাহীন করে তুলছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জানিয়ে মিডিয়ার সামনে কথা বলতে চাননি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম কবিরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে এর বেশি জানাননি।
আপডেট টাইম : শুক্রবার, অক্টোবর ২৩, ২০২০, ১৮৪ বার পঠিত
Please follow and like us: