জলঢাকায় জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ হিমালয় কাছে হওয়ার কারনে উত্তরের সীমান্ত জেলা নীলফামারীর জলঢাকা সহ জেলায় জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। এখানে  দিনের রোদে গরমের রেশ থাকলেও সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে শীতের পদধ্বনি শুরু হয় এবং নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। কিন্তু এবার নভেম্বরের শুরু থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে সকালের পর থেকে সর্বত্র তীব্র রোদ ছিল । শীতের প্রস্তুতি হিসেবে শুরু হয়েছে স্থানীয় লেপ-তোশক দোকানে কারিগরদের ব্যস্ততা। স্থানীয় বাজারে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা মজুদ করছেন শীতের পোশাক।

এদিকে হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে শীত মোকাবিলায় কোনো প্রস্তুতি দেখা যায়নি। এবং  অনেকে খবর কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।এদিকে সন্ধ্যার পর হাট বাজার গুলো ফাকা হতে শুরু করে।  শীতের আগমনে  ফুটপাতে বসা মৌসুমি ব্যাবসায়ীরা  শীতের কাপড় বসিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন, দামও বেশী। তারপড়েও এ-ই সব দোকানে গড়ম  কাপর কিনতে ভীর করেছেন  সর্ব শ্রেনির মানুষ। বিশেষ করে  কাপড় কিনছেন শিশুদের গড়মিল কাপড়, কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোলের  ভ্যান চালক কালাচান ই বলেন, এবার শীত একটু আগেই চলে এলো। এ সময় আমাদের রোজগার কম হয়। তাই দুশ্চিন্তায় আছি শীত কি ভাবে নিবারনের করব।  ডাউয়াবারীর আলম জানান আমরা গরীব মানুষ  দিন আনি দিন খাই এখন শীত আইছে শীতের কাপড় পামু কই, করে দিলো আমাগো শীতের কাপড়। গোলমুন্ডা ইউনিয়নের বাধের পাড়ের বাসিন্দারা জানান যারা গড়ম কাপড় দেয় তারা  সহ কেউ বাধের পাড়ের মানুষের দিকে তাকায় নাও আমাগো দেখে না। আমরা কিছুই পাইনা।তাই খালি কয় দিমু কবে যে দিবো সেই কথা কয় না। চেয়ারম্যান , মেম্বাররাও কয় আমরা পাই নাই দিবো কেমনে।আগে আসুক তারপরে। বাধের পাড়ের বাসিন্দা রহিম বলেন আমরা সবাই কিছু  থেকে বঞ্চিত হই। ভোট এলে তারা কয় ওমুক তমুক করবো কিন্তু ভোট গেলে খবর নাই, আমাগোর দিকে দেখে না ও চেনে না এখন আবার ভোট ও শীত আইছে তারা আবার আইবো দেখি কি করে।  শীতে আমরা কষ্টে  আছি।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ