সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা আজকের দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয়

তারিকুল আলম, সিরাজগঞ্জঃ ১৯৭১ সালে ১১ নভেম্বর উপজেলার নওগাঁ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগঠন পলাশ ডাঙ্গা যুবশিবিরের নেতৃত্বে পাক বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তাড়াশ উপজেলাকে হানাদার মুক্ত করার লক্ষে ঐতিহাসিক নওগাঁ বাজার এলাকায় পলাশডাঙ্গা যুবশিবির নামে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন গাজী আবদুল লতিফ মির্জা।
সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর ও বগুড়া অঞ্চলের প্রায় ৭৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ মির্জার নেতৃত্বে ‘পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবির’ সংগঠনে যোগ দেন। তাড়াশকে হানাদার মুক্ত করার জন্য ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ওই সংগঠনের ৭৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সন্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হন।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর তথ্য অনুযায়ী, ওই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১৩০ জন সৈন্য মারা যায়। তৎকালীন পলাশ ডাংঙ্গা যুবশিবিরের সর্বাধিনায়ক সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ  সদস্য গাজী আমজাদ হোসেন মিলন ওই সম্মুখ যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন।

গাজী আব্দুর রহমান, গাজী সাইদুর রহমান, গাজী আরশেদ আলী, গাজী আব্দুল কুদ্দুস, গাজী নাজেম উদ্দিন সহ অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওই যুদ্ধে অংশ নেন।

১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা তাড়াশ এলাকা শত্রু মুক্ত ঘোষণা করে স্বাধীনতার উৎসবে মেতে উঠে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক  সংসদ সদস্য গাজী ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলনের প্রচেষ্টায় ঐতিহাসিক নওগাঁ বাজার এলাকায় যুদ্ধের স্মৃতি বিজরীত ওই স্থানে নির্মিত হয়েছে নওগাঁ যুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন। যা স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যকে বুকে ধারণ করে স্বগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ