মাদারীপুরে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় মেয়েকে দিয়ে ধর্ষণের মামলা!

আরিফুর রহমান,

মাদারীপুরঃ বাড়ি করার জন্য ১৫ লাখ টাকার ইট বালু সিমেন্ট বাকিতে দিয়ে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ধর্ষণ মামলার আসামি হলেন মেসার্স আমেনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী দ্বীন ইসলাম। রোববার বিকালে মাদারীপুর নতুন শহরের মৈত্রী মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন করে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। দ্বীন ইসলাম মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পূর্ব রঘুরামপুর গ্রামের কালিতলা বাজারের মৃত চান মিয়া রাঢ়ীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে দ্বীন ইসলাম জানান, আমার একমাত্র নির্মাণ সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আমেনা এন্টারপ্রাইজ থেকে রড, ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের আব্বাস মোল্লার স্ত্রী রাশিদা বেগম নিজে এবং তার মেয়ে পপি আক্তারের স্বামীর বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণ করিয়াছেন। রাশিদা বেগমের স্বামী আব্বাস মোল্লা ও দুই ছেলে সৌদি আরব এবং জামাতা সিঙ্গাপুর থাকে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর নাম দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মালামাল নেয়। টাকা পরিশোধ করার জন্য বার বার তাগাদা দেওয়ার পর রাশিদা বেগম আমাকে গত বছরের ৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের একটি চেক দেন। আমি ওই চেক উত্তোলণ করার জন্য গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তারিখে চেক জমা দিলে একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকায় চেক ডিসঅনার (বাতিল) করে। পরে আমি রাশিদা বেগমকে জানাইলে তিনি বলেন আগামী এক মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে দিবে। অথচ, টাকা পরিশোধ না করায় আমি আমার প্রাপ্ত পাওনা টাকা চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উকিল নোটিশ পাঠাই। সবশেষে আমি রাশিদা বেগমের বিরুদ্ধে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাওনা টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে মামলাও দায়ের করি। কিন্তু উল্টো আমার নামে গত ১৩ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে রাশিদা বেগমের মেয়ে পপি আক্তার।
দ্বীন ইসলাম আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাই উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে চলতি মাসের ১৭ জানুয়ারি কয়েকটি মিডিয়ায় ‘প্রবাসীর স্ত্রী গোসলের দৃশ্যধারণ করে ব্লাকমেইল করার অভিযোগ’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত করে। কিন্ত এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তা ছাড়া মিথ্যা ধর্ষণ মামলার মেডিকেল রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সদর থানার আওতাধীন আঙ্গুলকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ বিনা কারণে কাউকে হয়রানি করবে না। তার বিরুদ্ধে যেহেতু ধর্ষণের একটি মামলা হয়েছে তাই আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তাই এর থেকে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১