নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে ইজিবাইক চালক খোরশেদ আলম মিলন (৩২) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লালপুরের ডাঙ্গাপাড়ার নাজমুল হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন, আরজ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম, নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের গাওপাড়া ঢালান এলাকার আসাদুল মিস্ত্রির ছেলে মেহেদী হাসান, দস্তানাবাদ এলাকার সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে সাগর আলী।
এরই মধ্যে এক আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে দুইজন নিহতের পূর্ব পরিচিত। তারা ঘটনার রাতে ফোন করে অটোচালকে ডেকে নিয়ে যাম।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ১৫ মে সন্ধ্যায় লালপুর উপজেলার কদুমচিলান এলাকার একটি আখ খেত থেকে অটোচালকের লাস উদ্ধার করা হয়। ঐ ঘটনায় হত্যা মামলা সূত্রে মাঠে নামে জেলা পুলিশের ৬টি টিম। ১৬ মে সকালে নিজ বাড়ি থেকে আসামি সজিব হোসেন গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সজিব জানান- মেহেদী হাসান, রবিউল ইসলাম এবং অপর একজন মিলে অটোরিকশা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন।
নিহত মিলন আসামি সজিব ও রবিউলের পূর্ব পরিচিত। ঘটনার আগে গত ১৩ মে রাতে তারা বনপাড়া থেকে ২৫০ টাকা ভাড়ায় লালপুর থানার ঘাটচিলান গ্রামে যান। অটোরিকশাটি নতুন হওয়ায় তারা তা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করেন। ১৪ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামি রবিউল ফোন দিয়ে মিলনকে ডেকে নেন। এরপর আসামি সজিব, মেহেদী হাসান, রবিউল ইসলাম ও অপর একজন মিলনের অটোরিকশায় যাত্রীবেশে বনপাড়া থেকে রওনা হয়ে ঘাটচিলান গ্রামের একটি আখখেতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। আসামি সজিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তার দেওয়া তথ্যে ১৬ মে ভোরে রবিউল ইসলামকে এবং মেহেদী হাসানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে সাগর আলীর কাছ থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অরেক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এসপি।