প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়েই জয়ের ধারায় ফিরতে চায় বাংলাদেশ

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ দু:সহ টেস্ট স্মৃতি পেছনে ফেলে কেবল জয়ের ধারায় ফিরতে মারিয়া বাংলাদশ ক্রিকেট দল তিন ম্যাচ সিরিজে আগামীকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এটাই বাংলাদেশ দলের সেরা সময়। যদিও সবকিছু টাইগার দলের পক্ষে নেই। সংক্ষিপ্ত এই ভার্সনে নিজেদের সবশেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। একমাত্র জয়টি এসেছে নিজ মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তার আগে পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। তারও আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের পাঁচ ম্যাচের সবকটিতেই পরাজিত হয়েছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।

তারপরও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠেয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঠিক কম্বিনেশনের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ এই ভার্সনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের রেকর্ডের কারণে আশাবাদী হতে পারে।

সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরও টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। অবশ্য তিন ম্যাচের সিরিজটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল যুক্তরাস্ট্রের মাটিতে। তাছাড়া দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয়-পরাজয়ের রেকর্ড অনুযায়ী আশাবাদী হতেই পারে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে জয় পেয়েছে পাঁচটিতে, পরাজিত হয়েছে সাতটিতে এবং একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।

এ ছাড়া সংক্ষিপ্ত এই ভার্সনে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত মোট ১২৫টি ম্যাচ খেলে ৪৪টিতে জয় পেয়েছে। পরাজিত হয়েছে ৭৯টিতে। বাকি দুই ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।

কিন্তু ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ভার্সনে বাংলাদেশের যেটা সমস্যা তা হলো খেলাটির প্রতি এখনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। এই ফরম্যাটে খেলার যথার্থ উপায় এখনো খুঁজে পায়নি। কখনো কখনো তারা আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ডের খেলা খেলেছে, যার কারণে কখনো কখনো তারা খারাপভাবে মাঠ ছেড়েছে। আবার কখনো কখনো অত্যন্ত সতর্কভাবে খেলেছে, যেটা টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই নয়। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের মতে আক্রমণাত্মক ও সতর্কতামুলক এই দুইয়ের মাঝে বাংলাদেশকে কিছু খুঁজে বের করতে হবে।

এদিকে শেষ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদকে। মূল একাদশে তাদের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে চার বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন মিরাজ। আর তাসকিনের হবে এ বছর এটা প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দলে আছেন সর্বশেষ ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্ট ম্যাচ খেলা এনামুল হক বিজয়ও।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজও দলে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। যেখানে বড় অনেক তারকা খেলোয়াড়ই দলে নেই। তারাও দল নিয়ে পরীক্ষা করবে সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পেতে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের আশা ভঙ্গ করার মতো ব্যাটিং-বোলিং শক্তি তাদের আছে।

বাংলাদেশ দল (সম্ভাব্য)
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, মুনিম শাহরিয়ার, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল (সম্ভাব্য)
নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), ব্রান্ডন কিং, কাইল মায়ার্র্স, ডেভন থমাস (উইকেটরক্ষক), রোভম্যান পাওয়েল, কিমো পল, রোমারিও শেফার্ড, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, ওডেন স্মিথ ও ওবেদ ম্যাককয়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ