ঈদে পর্যটকে ভরে উঠবে মৌলভীবাজার

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ করোনা পরিস্হিতিতে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার ঈদে মৌলভীবাজারে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারের সব হোটেল, কটেজ, রিসোর্টই ইতোমধ্যে বেশির ভাগ  বুকিং হয়ে গেছে।  পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে যেমন প্রস্তুুত রয়েছে হোটেল-রিসোর্টগুলো, তেমনি প্রশাসনও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। এই ঈদে জেলার পর্যটন স্থানগুলোতে হাজার হাজার  পর্যটক আসবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে  সব রিসোর্ট-কটেজে পর্যটকরা ইতোমধ্যে বুকিং দিয়েছেন। ৪ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত কোনো হোটেল-রিসোর্ট  খালি নেই।

মৌলভীবাজার জেলা পর্যটকদের কাছে ভ্রমনের জন্য  আকর্ষণীয় একটি অন্যতম স্থান। জেলাজুড়ে বন-পাহাড়, হাওর, চা-বাগান, জাতীয় পার্ক, জলপ্রপাতসহ অনেক জায়গাই পর্যটকদের আকর্ষন করে।

পর্যটকদের আকর্ষণের  প্রথম স্হান দখল করে আছে জেলার ৯২টি চা-বাগান। এছাড়াও  শ্রীমঙ্গলের বাইক্কাবিল, বধ্যভূমি ৭১, ডিনস্টন সিমেট্রি, হাইল-হাওর, নির্মাই শিববাড়ি, চা-কন্যা ভাস্কর্য, লালটিলা, ভাড়াউড়া লেক, গরমটিলা, মনিপুরী পাড়া, খাসিয়া পুঞ্জি, সাওতাল, টিপড়া পাড়া উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর বিচিত্র জীবনাচার ও সংস্কৃতি দেখতে পর্যটকদের বার বার আকর্ষন করে। পর্যটকরা এসব জনগোষ্ঠীর জীবনধারা ও সংস্কৃতি দেখে মুগ্ধ হন।

এছাড়াও কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, হামহাম জলপ্রপাত,  বড়লেখার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওর,  কমলা রানির দীঘি, কাউয়াদীঘি হাওর, জলের গ্রাম অন্তেহরি প্রভৃতি স্হান পর্যটকদের বার বার আকর্ষন করে।

শ্রীমঙ্গলের পাচঁ তারকা মানের হোটেল গ্র্যাণ্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ সুত্র জানায়, ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত তাদের হোটেল বুকিং হয়ে আছে। ৭ তারিখও বুকিং হয়ে যাবে।

বৃষ্টিবিলাশ গেষ্ট হাউজের স্বত্তাধিকারী আনজিম ইসলাম রাফি জানান, ৪ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত তাদের ৮০ ভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। সব রুমই বুকিং হয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী শামসুল হক  জানিয়েছেন, শ্রীমঙ্গলে ছোট–বড় ৬০টির বেশি হোটেল-রিসোর্ট আছে। ঈদের জন্য আগে থেকেই সেগুলো বুকিং দেওয়া হয়েছে। তবে ৫ ও ৬ মে এই দুই দিন প্রায় শতভাগ বুকিং হয়েছে। কিছু পর্যটক আসতে শুরু করেছেন। ঈদের পরদিন থেকে বেশি পর্যটক আসবেন।

পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমদ  বলেন, হোটেল-রিসোর্ট ৫০ থেকে ১০০ ভাগ বুকিং হয়ে গেছে। শহরের বাইরেরগুলোতে বুকিং হয়েছে বেশি। তিনি বলেন, শহরের বাইরের ৫৬ টি হোটেল, কটেজ, রিসোর্টে অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে।

চা বোর্ড পরিচালিত টি রিসোর্টের ব্যবস্হাপক মো. শামসুদ্দোহা জানান, তাদের রিসোর্ট ৪ মে থেকে ৬ মে ফুল বৃকিং হয়ে গেছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ