কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ নাটোর শহরের বলারিপাড়া থেকে কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪২) মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে রোববার দুপুরে মরদেহ মর্গে পাঠানোর পর ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। রাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শ্বাসরোধে মৃত্যুর আলামত পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। এর আগে নাটোরে কলেজ ছাত্রকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের লাশ তার শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নাটোর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ জানান, রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার মোল্লা ম্যানশন ভবনের চারতলার ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবেশীরা খায়রুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৪২ বছর বয়সী খায়রুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ডিগ্রী কলেজে দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় তার কলেজছাত্র স্বামী ২৩ বছর বয়সী মামুন হোসেনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

বাড়ির মালিক নান্নু মোল্লা গণমাধ্যমকে জানান, রোববার সকালে, মামুন আশপাশের লোকজনদের জানায় যে, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। পরে স্থানীয়রা তার বাসায় গিয়ে শোয়ার ঘরের মেঝেতে খায়রুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। “এ সময় সন্দেহ হলে তারা মামুনকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে খায়রুনের লাশ উদ্ধার করে এবং মামুনকে থানায় নিয়ে যায়।”

মোল্লা ম্যানশনের দায়োয়ান নিজাম উদ্দিন জানান, খায়রুন ‘আত্মহত্যা করেছেন’ বলে তার স্বামী মামুন স্থানীয়দের জানিয়েছে। তবে তিনি কীভাবে আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি সে।

পুলিশ জানায়, খায়রুনের দ্বিতীয় স্বামী মামুন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামেরর মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর এক ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই থাকতেন খায়রুন। পরে ফেইসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয়ের ছয় মাস পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে গোপনে তাকে বিয়ে করেন খায়রুন। বিয়ের ছয় মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি জানাজানি হলে দেশ জুড়ে আলোচনায় আসেন এই দম্পতি।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ