বগুড়া নিউজ ২৪ঃ নানাকে হত্যা করা দৃশ্য দেখে ফেলায় সেটা কাল হয়ে দাঁড়ায় ১২ বছরের শিশু মোনালিসার। তাকেও হত্যা করার জন্য আসামিরা একাধিকবার চেষ্টাও চালায়। এরপর শিশু মোনালিসার মা আসামিদের ভয়ে তাকে নিয়ে দুই মাস আত্মগোপনে থাকেন। এরপর আসামিরা উপ-বৃত্তি দেওয়ার কথা বলে কৌশলে মা-মেয়েকে ডেকে নিয়ে আসে। কয়েক দিন চেষ্টার পর শিশু মোনালিসাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মৃতদেহ ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় মামলাও করতে পারেনি শিশুটির পরিবার। হত্যাকান্ডের ১৫ মাস পর গংগাচড়া থানায় মামলা হলে সিআডি ঘটনার সাথে জড়িত দুই নারীকে গ্রেফতার করে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর কেরানী পাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে রংপুর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আতাউর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার হোহালী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসি বর্তমান ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সাইফুল তার চাচাতো ভাই রেয়াজুল ইসলামকেও হত্যা করে।
রেয়াজুল ইসলামকে হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলে তার ১২ বছরের নাতনি মোনালিসা। নানাকে হত্যার কথা তার নানিকে জানালে আসামিরা মোনালিসাকে হত্যার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। মেয়ের জীবন বাঁচাতে দুই মাস আত্মগোপনে থাকে মা ও মেয়ে।
এরপর আসামিরা ৬ জুন উপ-বৃত্তি দেওয়ার কথা বলে মা-মেয়েকে ডেকে এনে কয়েক দিন চেষ্টার পর ৯ জুন শিশু মোনালিসাকে শ্বাসরোধ হত্যা করে। এ ঘটনায় সিআইডি চলতি বছরের ৪ আগস্ট গংগাচড়া থানায় একটি মামলা করে।
এরপর সিআইডি গংগাচড়া উপজেলার চড় বাগডহড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মোতাহারা বেগম ও ময়না বেগমকে গ্রেফতার করে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করে।