কোর্ট রিপোর্টার : ১৮ বছর আগে বগুড়ার শিবগঞ্জে দুই শিশু হত্যার দায়ে দুই আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদন্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দন্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। দুই পলাতক আসামির পে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২ নভেম্বর দুপুরে শিবগঞ্জের আটমুল মোঘলপাড়া গ্রামের মুসা প্রামানিকের মেয়ে রহিমা খাতুন (৮) ও ছেলে আবদুর রহিমকে (৬) অপহরণ করা হয়। তিন আসামি দুই শিশুকে মাছ দেওয়ার প্রলোভনে আটমুল মাঠের রজনীকুড়ি ডোবায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এক পর্যায়ে শিশুরা চিৎকার দিলে আসামিরা তাদের গলাটিপে হত্যা করে এবং লাশ ধানেেত ফেলে দেয়। শিশুদের খোঁজ না পেয়ে দুই শিশুর পরিবারের পে পরে শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ঘটনার সাত দিন পর ৯ নভেম্বর সকালে আটমুল মাঠে ধানেেত দুই ভাইবোনের পঁচন ধরা মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর শিবগঞ্জ থানায় করা হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রায় দেন বগুড়ার আদালত।
রায়ে বিচারক আসামি আবুল কালাম ওরফে বাদশা ও মো. মাহফুজুলকে মৃত্যুদন্ড এবং আতাউরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় আপিল করেননি। এজন্য আইন অনুযায়ী আসামিদের পে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।