বগুড়ায় শীতকালীন সবজিসহ কাঁচাবাজার ঊর্ধ্বমুখী

মমিন রশীদ শাইনঃ বগুড়ার কাঁচাবাজারগুলো ঊর্ধ্বমুখী। দামের দিক থেকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে শিম, টমেটো, বেগুন ও গাজর। সর্বনিম্ন দাম ৫০ টাকা অন্যান্য সবজির। বাজারে সবচেয়ে কমদামে পাওয়া যাচ্ছে মুলা ৩০ টাকা কেজি।
বগুড়ার ফতেহ আলী ও রাজা বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালীন কিছু সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ কম থাকায় সেগুলো দাম আকাশচুম্বী। তবে, চলতি মাসের শেষের দিকে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন বাজার স্থিতিশীল হবে এবং দামও কমবে বলে আশা করা যায়।
সপ্তাহের ছুটির দিনে বগুড়ার এই দুই বাজারে শনিবার শিম বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা কেজিতে। ভারত থেকে আমদানি করা টমেটোর দাম ১৪০ টাকা। ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গাঁজর। জাতভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজিতে।
এ ছাড়া, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা ক্যোপসিকা ৩০০টাকা, লেটুসপাতা ৭০০টাকা মিষ্টি লাউ ৫০ টাকা ও মুলা ৩০ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি দেশি কাঁচা মরিচের দাম ৫০ টাকা, আর ভারতীয় মরিচ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পুঁইশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, পালং ১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, কলমি ও লাল শাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফতেহ আলী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বাবু শেখ বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কিছু সবজির দাম কমেছে আর কিছু সবজির দাম বেড়েছে। শিম বাজারে নতুন সবজি, তাই দামও একটু বেশি। বাজারে এখন পর্যন্ত শুধু ঝিনাইদহ অঞ্চলের শিম পাওয়ার যাচ্ছে। বেগুন ও টমেটোর দাম আগের মতোই আছে। গত সপ্তাহেও একই দামে সবজি দুটি বিক্রি হয়েছে ।
এ দিকে, ব্যবসায়ীদের বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে এক ক্রেতা বলেন, কোনো সবজির দামই কমেনি, বরং বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৫০ টাকা করে ফুলকপি কিনেছি। আজ সেটা ৮০ টাকা করে করে বিক্রি হচ্ছে। সজিনা ৩০০ কেজি পাতাকপি ৬০ টাকা,পেঁপে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে মধ্যবিত্তের অবস্থা তত খারাপ হচ্ছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ