হিরো আলম এর প্রতিক একতারা

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ হাইকোর্টে রিট করে বাতিল হওয়া বগুড়া-৪ ও ৬ উপ-নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তবে সিংহের বদলে পেয়েছেন একতারা প্রতীক।

বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম তার দুটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে একতারা প্রতীক তুলে দেন।

প্রতীক প্রাপ্তির পর হিরো আলম জানান, তার চাওয়া ছিল সিংহ প্রতীক। কিন্তু তিনি জানতে না সিংহ কোন এক দলের দলীয় প্রতীক। তাই তিনি এর পরিবর্তে একতারা প্রতীক নিয়েছেন।

তিনি জানান, ২০১৮ সালে তিনি দুর্বল ছিলেন। এবার তার জনপ্রিয়তা ও কর্মী সমর্থক অনেক। তাই কেউ আগের মত তার উপর হামলার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করবেন।

জেলা প্রশাসক জানান, নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের নাম রয়েছে। ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জন্য প্রতীক রয়েছে। ৪৩ নম্বর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নাম জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), যার প্রতীক ‘সিংহ’। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয় দলটি। তাই আশরাফুল আলম (হিরো আলম) একতারা নিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, হিরো আলম যে প্রতীক চেয়েছিলেন সেটি একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক। তাই সেটি না পেয়ে একতারা প্রতীক দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শপথ না নেয়ায় এই আসনে উপ-নির্বাচন হয়, সেটিতেও বিএনপির গোলাম মো. সিরাজ নির্বাচিত হন। গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সব সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসন দুটি শূন্য হয়। এই শুন্য আসনে ০১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এবার বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। কিন্তু নির্ধারিত এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র প্রথমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পরে নির্বাচন কমিশন থেকেও বাতিল করা হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন হিরো আলম। হাইকোর্ট তার প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ