আরাভ খানের জাতীয় পরিচয়পত্রে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ পুলিশ কর্মকর্তা মামুন হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাভ খান এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে প্রথমে ভারত এবং পরবর্তীতে দুবাইয়ে পাড়ি জমান এই যুবক। সম্প্রতি বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের শোরুমের উদ্বোধন করেন তিনি। যেখানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ দেশের বেশ কয়েকজন তারকাকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এরপর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে তার।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম রবিউল ইসলাম। তার পিতার নাম মতিউর রহমান, মায়ের নাম লাখি এবং স্ত্রীর নাম উল্লেখ রয়েছে রুমা।

এনআইডির তথ্য অনুযায়ী, রবিউল ইসলাম মাধ্যমিক পাস এবং জন্মস্থান বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নে। তবে এনআইডিতে জন্মস্থান বাগেরহাট হলেও রবিউল ইসলাম আদতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় উলুখোলা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন রবিউল ইসলাম। দেশ থেকে পালিয়ে তিনি প্রথমে ভারত যান। কলকাতার একটি বস্তিতে কয়েকবছর বসবাস করার পর তিনি আরাভ খান নামে ভুয়া ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দুবাই চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও গত বছরের মার্চ এবং সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন রবিউল ইসলাম। সে সময় ফেসবুক লাইভে তিনি তার উপস্থিতির কথা জানান দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সফরের সময় তিনি দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে ভিসা নিয়েছিলেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনার সব চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ