বরিশাল প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে অনুমান করা যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বরিশাল অঞ্চলে তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। ফলে গণমাধ্যমের প্রতি আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটির জরুরি সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ৮৯৯ মেট্রিক টন চাল ও ৮ লাখ ৯০ হাজার নগদ টাকা মজুদ রেখেছে। এছাড়া শুকনা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে যেন মানুষের সমস্যা না হয় সেজন্য কেন্দ্র অভিমুখের রাস্তাগুলো উপজেলার কর্মকর্তারা দেখেছেন। ইউএনওরা সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, রেডক্রিসেন্টসহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে আমি বৈঠক করেছি, যেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা ও পরবর্তী সময়ে আক্রান্ত এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬১ হাজার ১৪৪ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হলেও তার প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরে তুলে ফেলেছেন কৃষক। একদিনের মধ্যে আরো কিছু ধান ঘুরে তুলতে পারবেন তারা। যে কারণে ফসলেরও তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছ না সংশ্লিষ্টরা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আহসান হাবিব, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহেল মারুফ, জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসাইন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ।