তুলসি পাতার ভেষজ গুণ

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ফ্ল্যাট বাড়ির জানলায়, বাসায় বেলকুনিতে বাড়তি জায়গা থাকলে কখনো কখনো সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন গাছ রাখা হয়, কিন্তু তুলসী পাতা চেনা হয়ে ওঠে না অনেকের।

বছর কুড়ি আগেও প্রতিটা বাড়িতে অন্তত একটা করে তুলসী গাছ থাকত। সকাল হলে একটা পাতা ছিঁড়ে নিয়ে মুখে পুরে দিতেন অনেকেই। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। ওষুধি গাছগুলো ভুলতে বসেছেন ছেলে-বুড়োরা। তুলসী পাতার ওষুধি গুণ অনন্য।

চলুন জেনে নেয়া যাক তুলসীর কিছু গুণাবলী-

শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা :
ঠাণ্ডা লাগলে তুলসী পাতা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। গলার সব রকম সমস্যায় তুলসী পাতা ব্যবহৃত হয়।

মানসিক চাপ :
তুলসীর ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো নার্ভকে শান্ত করে। এ ছাড়াও তুলসী পাতার রস শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

হার্টের অসুখ :
তুলসী পাতায় আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। তুলসী পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

মাথা ব্যথা :
মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংসপেশির খিঁচুনি রোধ করতে সহায়তা করে।

রোগ নিরাময় ক্ষমতা :
তুলসী গাছের ঔষধি-গুণাবলি সমৃদ্ধ গাছ। তুলসীকে নার্ভের টনিক বলা হয় এবং এটা স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী। এটি শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মাঘটিত সমস্যা দূর করে। তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

পোকার কামড় :
তুলসী পাতা হলো প্রোফাইল্যাক্টিভ যা পোকামাকড় কামড়ে দিলে উপশম করতে সক্ষম। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার তাজা রস লাগিয়ে রাখলে পোকার কামড়ের ব্যথা ও জ্বালা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।

ত্বকের সমস্যা :
তুলসী পাতার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তুলসী পাতা বেঁটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়। এ ছাড়াও তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগালে ত্বকের যে কোনও সমস্যায় বেশ উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ত্বকের কোনও অংশ পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে জ্বালা কমবে এবং সেখানে কোনও দাগ থাকবে না।

বয়স রোধ করা :
ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েলগুলো চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হিসেবে কাজ করে। যা বয়সজনিত সমস্যাগুলো কমায়। তুলসী পাতাকে যৌবন চিরকাল ধরে রাখার টনিক ও মনে করেন কেউ কেউ।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ