বগুড়ার টিএমএসএস কর্তৃক বালু উত্তলনে ফসলি জমি ও বসত ভিটা হুমকির মুখে

বগুড়া সদর প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের বনমালীপাড়া, জঙ্গলপাড়া ও বগুড়া পৌরসভাধীন ১৯নং ওয়ার্ডের পাশে করতোয়া নদীতে দিদারছে চলছে বালু উত্তলন।
বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সদর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভূমি সহকারী কমিসনার বীর আমির হামজা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বগুড়া সদর থানা এবং ফুলবাড়ী ফাঁড়ি পুলিশের সহযোগিতায় দুইটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে এবং আরও বেশ কিছু মেশিনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। গত ২৮/০৬/২০ইং তারিখে বগুড়া সদর থানাধীন ৬নং শাখারিয়া ইউনিয়নের বনমালীপাড়া ও বগুড়া পৌরসভাধীন ১৯নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পত্রে উল্ল্যেখ করা হয় যে, শাখারিয়া বনমালীপাড়া মৌজার নদী সংলগ্ন ২/৪টি দাগ সম্পত্তি ইতিপূর্বে টিএমএসএস সংস্থা খরিদ করিয়া সম্পূর্ন অন্যায় ও বে-আইনীভাবে ১২টি জ্রেজার মেশিন দ্বারা মাটির নীচ থেকে ২৫০/৩০০ফিট গভীর হইতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করিতেছে। ফলে আশ পাশের ফসলী জমি, গাছ পালা, মুসলমানদের একটি ঈদগাহ্ মাঠ ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রাদায়ের মহা শ্মাশান নদী গর্ভে বিলিন হইতেছে। ইতিপূর্বে সদর থানায় অভিযোগ দিলেও কোন ফল হয় নাই। ২৫/০৬/২০ইং তারিখে এলাকাবাসী সদর থানায় হাজির হইয়া অভিযোগ করিলে, টিএমএসএস সংস্থার দায়িত্বরত জেলা প্রধানকে থানায় ডাকিলে সংস্থার পক্ষে অজ্ঞাত ব্যক্তি হাজির হয় এবং গত ০৮/১১/২০০৭ইং তারিখে মোঃ মোশারফ হোসাইন (পরিচালক) পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী, পরিবেশ ভবণ, নিশিন্দারা বগুড়া এর পরিবেশ/রাবি/বালু উত্তোলন-৯১৬৮/০৭/৪৫৭২ নং স্মারক পত্র দেখায় এবং বলে যে, আমরা বালু উত্তোলন করবই। কেহ আমাদেরকে বাধা প্রদান করিতে পারিবে না। এলাকাবাসীর দাবী আমাদের ফসলী জমি, গাছ পালা, মুসলমানদের একটি ঈদগাহ্ মাঠ ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রাদায়ের মহা-শ্মাশান রক্ষার জন্য উক্ত স্থানে স্থায়ী ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ