ডা. সাবরিনা সাময়িক বরখাস্ত, স্বাস্থ্যের ডিজিকে শোকজ

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে থাকা ও করোনা টেস্টে প্রতারণার অভিযোগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘সাবরিনা শারমিন সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান ও অর্থ আত্মসাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বিধায় তিনি আজ ১২ জুলাই গ্রেফতার হন। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সরকারের অনুমতি ব্যতীত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থাকা এবং অর্থ আত্মসাৎ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা এবং আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সেহেতু ডা. সাবরিনা শারমিনকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২(১) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’

তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে বিধি মোতাবেক খোরপোষ প্রাপ্ত হবেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

স্বাস্থ্যের ডিজিকে শোকজ
করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

রোববার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করোনা চিকিৎসার জন্য রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে অধিদপ্তর।

চিঠিতে বলা হয়, কোনো হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে তা সরেজমিনে পরিদর্শন, হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, জনবল ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে উপযুক্ততা বিবেচিত হলেই কোভিড পরীক্ষা/চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চুক্তি সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তি করার পর উদ্ধৃত শর্তসমূহ প্রতিপালনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বলতে কী বোঝানো হয়েছে তার সুস্পস্ট ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যাদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিযোগের পর হাসপাতালটির কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এখনো পলাতক।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ