বগুড়া নিউজ ২৪ঃ সরকারি চাকরি ও বদলির কথা বলে টাকা আদায়, বালু ভরাট, রড, সিমেন্ট, বিটুমিন সরবরাহকারীকে টাকা না দেওয়া, ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত অভিযোগ, রিকশাভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স বিক্রি, হাসপাতালে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ দুই দিনে ১৪০টি অভিযোগ এসেছে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চালু করা হটলাইনে সারা দেশ থেকে সাহেদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ আসছে। অভিযোগকারীদের কাছ থেকে সাহেদের প্রতারণার বিচিত্র কৌশলের কথা জেনে র্যাব সদস্যরাও বিস্মিত। করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় সাহেদকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ সোমবার র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, গত দুদিনে সাহেদের বিরুদ্ধে র্যাবের হটলাইনে ১২০ জন ও ই-মেইলে ২০ জনসহ মোট ১৪০ জন অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের মধ্যে অনেকেই প্রবাসী। রিজেন্টের কর্মীদেরও অনেকে বেতন না পাওয়ায় অভিযোগ করেছেন। র্যাবের হটলাইন আরো দুই থেকে তিন দিন চালু থাকবে। এসব অভিযোগ দেওয়া পরিবারকে র্যাব আইনি সহায়তা দেবে।
প্রতারণার শিকার ওবায়দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তি জানান, সাহেদের পূর্বাচল প্রকল্পে বালু দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে এক টাকাও দেওয়া হয়নি।
এখলাছ খান নামের আরেকজন বলেন, সাহেদের প্রজেক্টে এক কোটি ৪৯ লাখ টাকার পাথর ও বালু সরবরাহ করেন তিনি। তবে এক টাকাও তাঁকে দেওয়া হয়নি। মাঝে ৩০ লাখ টাকার চেক দিলেও সেটি বাউন্স হয়। পরে বিদেশ থেকে তাঁকে একটি গাড়ি এনে দেওয়ার কথা ছিল, সেটিও দেননি সাহেদ।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। এরপর গা-ঢাকা দেন সাহেদ। গত বুধবার সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ধরা পড়ার মুহূর্তে সাহেদ নিজেকে একজন গণমান্য ব্যক্তি বলে দাবি করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পরদিন মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ সাহেদকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। অন্যদিকে সাহেদের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সাহেদকে ডিবি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে ডিবি হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।