বগুড়া নিউজ ২৪ঃ সাভারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করার অভিযোগে একটি সেমাই কারখানাসহ দু’টি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব-৪ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় কারখানা দু’টিকে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা মহল্লায় অবস্থিত অনিক ফুড সেমাই কারখানা ও নামাবাজার এলাকায় কাজী মোকমাপাড়া অবস্থিত রেবা রানী কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আনিসুর রহমান।
র্যাব-৪ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুদিন থেকে সাভারের গেন্ডা এলাকার অনিক ফুড সেমাই কারখানার মালিক ইমরান হোসেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সেমাই কারখানায় আমরা অভিযান পরিচালনা করি । অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে কাপড়ের রঙ মিশিয়ে সেমাই তৈরির অভিযোগে কারখানাটির মালিক ইমরান হোসেনকে নগদ তিন লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। সেইসাথে কারখানাটি থেকে চার’শ লিটার পোড়া তেল,বেশ কয়েক কেজি সেমাই, ডালডাসহ নানা উপকরণ জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও ইঁদুর-তেলাপোকার বসবাস মেঝেতে গবাদিপশুর মল-মূত্র রয়েছে।
অপরদিকে, একই ভাবে সাভারের নামাবাজারের কাজীমোকমাপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নিমকিসহ নানা খাদ্যপণ্য তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছিলো রেবা রানী কারখানা। মালিক দুলাল সাহা । ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে মালিক দুলাল সাহাকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসিনুর রহমান বলেন, অসাধু ব্যক্তিরা নিজেদের লাভের কথা চিন্তা করে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করে বাজারে বিক্রি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এসব মুখরোচক খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরছে শিশুসহ অনেকে। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।