বগুড়া নিউজ ২৪ঃ সময়ের সঙ্গে মহামারি হয়ে গর্জে ওঠা নোভেল করোনা ভাইরাসের ভয়াল তাণ্ডবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে একে একে বাতিল হয়েছে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২০ জুলাই) সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। এমন সিদ্ধান্তে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। এই একই কারণে এবারের আইপিএলও তারা আয়োজন করতে পারবে। এছাড়া আগামী তিন বছরে অনুষ্ঠিতব্য তিনটি বিশ্বকাপের মাঝে দুটিই হবে ভারতে।
করোনার কারণে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেছে ২০২১ সালে। এছাড়া ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ভারতে। আর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজকও ভারত।
ভারতীয় বোর্ড চায়, পরের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে। আর ২০২২ সালের টুর্নামেন্টটি হোক অস্ট্রেলিয়ায়। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াও দাবি জানিয়েছে, সামনের বছরের বিশ্বকাপ হোক তাদের দেশে, পরেরটা করুক ভারত। কিন্তু সৌরভের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বোর্ড চায় না পরপর দুটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে। এতে তাদের বাণিজ্যিক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, নতুন আইসিসি প্রধান এবং তার অধীনে নতুন কমিটি এসে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এ দিকে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেয়েদের বিশ্বকাপ আছে নিউজিল্যান্ডে। ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ বছরের শুরুর দিক থেকে শেষে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ২০১১ সালে শেষবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। ইতোমধ্যে আইসিসি নিশ্চিত করেছে, ২০২১ এবং ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে পরপর দুই বছর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে। আবার ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অর্থাৎ, তিন বছরে তিনটি বিশ্বকাপ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৬টি দল খেলবে। একেকটি দলে ১৬ জন করে ক্রিকেটার এবং আরও ১০ জন করে কোচ-সহকারী কোচেরা থাকবেন। তার মানে ১৬টি দল মিলিয়ে কমপক্ষে ৪১৬ জনের উপস্থিতি। এখনও অনেক দেশে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আছে। আর অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেটের বড় প্রতিযোগিতা হলে একটা বড় লভ্যাংশ আসে ট্যুরিজম থেকে। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব নয়। তাই সব মিলিয়ে পিছিয়ে গেছে বিশ্বকাপ।