শিবগঞ্জের মোকামতলা হাট যেন ময়লার ভাগাড় এলাকাবাসীর চলাচলে চরম ভোগান্তি

সাজু মিয়াঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মোকামতলা
হাট যেন ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। গণ সৌচাগারের ড্রেন, মুরগি ড্রেসিং করার উচ্ছিষ্ট ও গরু-ছাগল জবাই করার কসাই খানার কারণে নোংরা ময়লা জমে হাটের এলাকাটি একেবারে ডাস্টবিনে
পরিনত হয়েছে। হাট কমিটির উদাসিনতার কারণে ওই হাট এলাকায় অবস্থিত মন্দিরে যাতায়াতের
রাস্তায় পথচারীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরেজিমেন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলায় যেকটি হাট বসে তার মধ্যে মোকামতলা হাট অন্যতম।
কিন্তু হাটের আশেপাশে দেখলে মনে হবে যেন ময়লার ভাগাড়। এলাকাবাসী হাটের সংশ্লিষ্টদের ও
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কে বার বার বলা সত্বেও কোন কাজে আসেনি। অবশেষে কোন উপায় না
পেয়ে মন্দির কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে গণসৌচগার, মুরগির মাংসপট্টি
ও কসাই খানা অন্যত্র সরে নেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার ব্যস্ততম ব্যবসায়িক বন্দরের মধ্য
একটি মোকামতলা হাট। মোকাতলা বন্দরের বুকের উপর দিয়ে তৈরী হয়েছে ঢাকা রংপুর বিশ্বরোড। বিশ্বরোডকে কেন্দ্র করে মোকামতলা হাটটির গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এই
হাটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুয়ের যাতায়াত। কেহ আসে পণ্য বিক্রি করতে আবার কেহ
আসে কিনতে। হাটের সরু গলি পথেই গড়ে তোলা হয়েছে মন্দির। হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলেই
ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করে আসছে মন্দিরে। কিন্তু হাটের ভিতরে গণ সৌচগার, মুরগির
মাংসপট্টি ও কসাই খানা হওয়ার কারণে দিন দিন বর্জ্য ও গণ সৌচগারের হাউজ এবং ড্রেন ভরে
যাওয়ায় মন্দিরের চলাচলের পথ চলচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ওই হাটের
জায়গায় ফেলেরাখা মল ও বর্জ্যর কারণে দুর্গন্ধ ও ড্রেনের পচা পানি হাটের রাস্তায় উপরে উঠে পথ
চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মন্দির কমিটির পক্ষে প্রকাশ চন্দ্র সাহা, গৌরাঙ্গ, পিটু কুমার সাহা, উজ্জ্বল সাহা, সঞ্জিত
বলেন, মন্দিরের যাতায়াত রাস্তায় পঁচা পানি ও মল রাস্তায় জমে থাকায় প্রতিনিয়তই সমস্যার
সৃষ্টি হচ্ছে। আর মাত্র কয়েক দিনপর আমাদের সব বড় ধর্মীয় শারদীয় উৎসব উদযাপন হতে যাচ্ছে।
অথচ আমাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের পবিত্রতা বলে কিছু থাকছেনা।
এব্যাপারে মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান খলিফা বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে
হাটটি পরিষ্কার পরিছন্ন করার জন্য একটি প্রকল্প দিয়েছে। অচিরেই এই কার্যক্রম শুরু হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় ইউপি
চেয়ারম্যান কে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ