নারীর সহযোগিতায় গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুর জেলার শিবচরের পাচ্চরে এক নারীর সহযোগিতায় আরেক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে শিবচর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

রাতেই পুলিশ ধর্ষণে জড়িত ও সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত নারীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতা গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- আঁখি আক্তার (২৫), সুবল মণ্ডল ওরফে সুমন মোল্লা (৩২), সোহেল (৩৫), এসকান (৩৭) ও অটোরিকশা চালক সোহাগ হাওলাদার (৩৫)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্ত গৃহবধূ আঁখি আক্তার ও সুবল মণ্ডল ওরফে সুমন মোল্লা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে পাচ্চরের বাখরেরকান্দি পুনর্বাসন কেন্দ্রের শাহিন হাওলাদারের একতলা বাসায় দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই বাসায় তারা অনৈতিক কাজ করতেন এবং পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে অসহায় নারীদের ফুসলিয়ে বাসায় নিয়ে অনৈতিক কাজ করাতেন।

শনিবার বিকালে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ওই বাসায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত আঁখি আক্তারসহ পাঁচ ব্যক্তি। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে আটকে রেখে বিকাল পর্যন্ত দুই দফায় তাকে ধর্ষণ করে একাধিক ব্যক্তি। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুখ বেঁধে ইজিবাইকে করে পুনরায় ধর্ষণের জন্য অন্যত্র নেয়ার সময় কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ইজিবাইকটির পথরোধ করে। এ সময় ইজিবাইকে থাকা আসামিরা দ্রুত পালিয়ে গেলে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। রাতে শিবচর থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী এক নারীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।

শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আঁখি আক্তার ও সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আঁখি বাসা ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা করত।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ