বগুড়ায় গৃহ ও ভূমিহীন ৩৫৪টি পরিবার ঘর পাচ্ছে বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় প্রান্তিক, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আগামী বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) চতুর্থ পর্যায়ে ৩৫৪টি ঘর পাচ্ছে। ২১ জুলাই সারাদেশের মত বগুড়াতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলার ৩৫৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণ করবেন। ২১ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। জেলার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমনটি জানিয়েছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ক তালিকাভুক্ত ভূমিহীন পরিবার সংখ্যা ৩২৯টি ২১ জুলাই ১০টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে দুপচাঁচিয়ার এই পরিবাগুলোকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নন্দীগ্রাম উপজেলায় ক তালিকাভুক্ত ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ৪০৪টি। ২১ জুলাই ৪০টি ঘর হস্তান্তরের মাযধ্যমে এ উপজেলার সব উপকারভোগী পরিবার ঘর বুঝে পাবেন।

জেলা প্রশাসক জিয়্উাল হক জানান, দেশে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। এ ছাড়া আরো কিছু ঘর হস্তান্তর করা হবে। নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। সে কারণে আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী এই দুই উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। এর আওতায় বগুড়ায় ৪ হাজার ৭৪টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ঘর পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ পরিবার। দ্বিতীয় পর্যায়ে একই বছরের জুনে বিতরণ করা হয় ৮৫৭টি ঘর। তৃতীয় পর্যায়ে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল বিতরণ করা হয়েছে ৯৩০টি। আগামী ২১ জুলাই চতুর্থ দফায় ৩৫৪টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভা কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বলেন, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। প্রধ্যনমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে ২ শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে বরাদ্দের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গ্রাম বাংলার প্রান্তিক ভূমিহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ